শিরোনাম
নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইনের খসড়ায় অসঙ্গতি রয়েছে, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে তাড়াহুড়ো করে আইন তৈরির প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা। আইনের খসড়া জনগণের সামনে প্রকাশ করারও দাবি জানান তিনি। সূত্র: আরটিভি
শনিবার (২২ জানুয়ারি) ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলের সদিচ্ছা নিয়ে ছায়া-সংসদ বিতর্ক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, দলীয় স্বার্থ বিবেচনায় কমিশনার নিয়োগ দিলে নিরপেক্ষ হবে না। ইসি নিয়োগের খসড়া আইনটির অনুলিপি কোথায় আছে, এখনও তা কেউ বলতে পারছে না; যা জানার অধিকার জনগণের রয়েছে। অংশীজন, রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের যাচাই-বাছাই ও মতামত ছাড়া আইনটি পাস হলে এর গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
আইন তৈরিতে রাজনৈতিক দল, জনগণ ও সুশীল সমাজের মত উপেক্ষা না করা, নির্বাচন কমিশনের কাজের জবাবদিহিতাসহ ৬ দফা সুপারিশ তুলে ধরেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন, বিচার ব্যবস্থা, প্রশাসন ও রাষ্ট্রীয় অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ওপর ভিন্নমতের রাজনৈতিক দলসমূহের আস্থার অভাব রয়েছে।নির্বাচনকালে গ্রেপ্তার, মামলা, কালো টাকার ব্যবহার, পেশিশক্তি ও প্রশাসনের পক্ষপাতিত্ব নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
প্রতিযোগিতায় সরকারি দল হিসেবে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলোজি ও বিরোধী দল হিসেবে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর বিতার্কিকরা অংশগ্রহণ করে।অংশগ্রহণকারী দলের মাঝে ট্রফি ও সনদ বিতরণ করা হয়।