শিরোনাম
করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় অর্ধেক লোক নিয়ে অফিসের কার্যক্রম চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, এটা খুব শিগগির প্রজ্ঞাপন আকারে চলে আসবে। গণপরিবহনে যাতে ভোগান্তি না হয়, সে জন্য অর্ধেক লোক দিয়ে অফিস করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত চলমান পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সংক্রমণের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালগুলোতে ৩৩ শতাংশ শয্যা ইতিমধ্যে পূর্ণ হয়েছে। পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে পারে। তাই, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে আগামী দুই সপ্তাহ স্কুল- কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বিয়ে, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি অংশ নিতে পারবে না। যারা অংশ নিবেন তাদের সবার টিকা সনদ থাকতে হবে।
সরকারি বিধিনিষেধ সবাইকে মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, এগুলো কার্যকরের চেষ্টা চলছে। সংক্রমণ যাতে কমে সে জন্য এই সিদ্ধান্ত। পরিবার, দেশ ও নিজের সুরক্ষার জন্য আমাদের নিয়মগুলো মানতে হবে। সরকার বিধিনিষেধ দেয় যাতে আমরা তা মেনে চলি।
মন্ত্রী বলেন, যেখানে খেলাধুলা আছে সেখানে টিকা সনদের পাশাপাশি টেস্টের সনদও লাগবে। এগুলো বইমেলায়ও দেখাতে হবে। সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে বইমেলা পেছানো হয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মতোই আমরাও চলমান পরিস্থিতির বাইরে নই।
নির্দেশনা বাস্তবায়নের দায়িত্ব প্রশাসনের জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা চাইবো তারা যেন আরও নজরদারি বাড়ান। জনগণের দায়িত্ব আরও বেশি। নিজেদের সুরক্ষায় এটি নিজেদেরই পালন করতে হবে। সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়।
টিকার লক্ষ্যমাত্রা ৭০ শতাংশে নামিয়ে আনার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা সাড়ে ১২ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার কথা বলে এসেছি। তা কিন্তু ৭০ ভাগের মধ্যে। অনেকে (প্রবাসী) বাইরে থাকেন। সবমিলিয়ে আমরা ১৫ কোটি ১০ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছি। হাতে এখনো নয় কোটি টিকা আছে। আমরা জনসনের তিন লাখ ৩৭ হাজার ডোজ টিকা পেয়েছি। আরও আসবে।