শিরোনাম
বহুল আলোচিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে গণনা চলছে। পুরো সিটি করপোরেশনের ১৯২ কেন্দ্রে ইলেক্টনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হয়েছে। এখন পর্যন্ত বেসরকারিভাবে ৮১টি কেন্দ্রের ফলাফল জানা গেছে। এর মধ্যে নৌকা প্রতীক নিয়ে সেলিনা হায়াৎ আইভী পেয়েছেন ৫৬ হাজার ১১৫, আর হাতি মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৬১২ ভোট।
এর আগে রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল আটটা থেকে ২৭ ওয়ার্ডে ১৯২ কেন্দ্রের এক হাজার ৩৩৩ ভোটকক্ষে ভোট গ্রহণ হয়। নির্বাচনে মোট ভোটার পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন। এর মধ্যে পুরুষ দুই লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৬ জন, নারী ভোটার দুই লাখ ৫৭ হাজার ৫১১ জন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারও রয়েছেন চার জন।
ভোটগ্রহণে কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে বেশকিছু কেন্দ্র ভোটারের আঙুলের ছাপ না মেলায় ভোট দিতে দেরি হয়েছে।
এদিন সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে আলী আহমদ চুনকা প্রতিষ্ঠিত স্কুল শিশুবাগ বিদ্যালয়, দেওভোগ কেন্দ্রে নিজের ভোট দেন সেলিনা হায়াৎ আইভী। এরপর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, যদি সুষ্ঠু ভোট হয় শেষ পর্যন্ত তাহলে আমি আশা করি বিপুল ভোট পাবো। কারণ নারায়ণগঞ্জের মানুষ চায় নৌকার জয় হোক। আমি জানি নারায়ণগঞ্জের মানুষ আমাকেই বেছে নিয়েছে, নিজেরা নির্ধারণ করে ফেলেছে কাকে ভোট দেবে। ইনশাআল্লাহ নৌকার জয় হবেই হবে, আইভীর জয় হবেই হবে। গণজোয়ারের জয় হবেই হবে।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জ বার একাডেমি স্কুল এবং বিবি মরিয়ম গার্লস স্কুল পরিদর্শন শেষে স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী অ্যাড. তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, ইভিএম পদ্ধতির কারণে ভোট প্রয়োগে ভোটারদের দেরি হচ্ছে। লোকজন ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইন ধরে আছে। কোথাও কোথাও মেশিনে ত্রুটিও দেখা দিয়েছে।
আইভী ও তৈমুর আলম ছাড়া মেয়র পদে অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের এ বি এম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসিম উদ্দিন (বটগাছ) ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া)।
এছাড়াও কাউন্সিলর পদে সাধারণ ওয়ার্ডে ১৪৮ জন ও সংরক্ষিত আসনে ৩৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।