শিরোনাম
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, রূপকল্প ২০৪১ এর মাধ্যমে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। এ সময়ের মধ্যে কারিগরি শিক্ষায় দেশের ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী ভর্তি (এনরোলমেন্ট) নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। শিক্ষিত ডিগ্রিধারীদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে এ কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইউ) প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি। ইউ’র বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
বৈঠকে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষার্থী ভর্তির এ মহাপরিকল্পনা করায় সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন ইউ’র প্রতিনিধি দল।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা নেয়ার আগে ২০০৯ সালে কারিগরিতে এনরোলমেন্ট ছিল ১ শতাংশ। ক্ষমতায় আসার পর ২০২০ সালের ২০ শতাংশ নিশ্চিত করার টার্গেট নেয়া হয়েছিল। তখন এটাকে অনেকেই উচ্চাবিলাসী মনে করেছিলেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে এনরোলমেন্ট হয়েছে ১৭ শতাংশের বেশি। আমরা চাই ২০৪১ সালের মধ্যে কারিগরিত ৫০ শতাংশ এনরোলমেন্ট করতে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, দেশের প্রতিটি উপজেলায় কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করা হচ্ছে। মাইন্ডসেট চেঞ্জ (মানসিকতার পরিবর্তন) করে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করে তুলতে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। অনেকে মনে করে, কারিগরিতে কম মেধাবীরা পড়াশোনা করে। তাই মাইন্ডসেট পরিবর্তন করতে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সারাদেশে ১৬টি শতবর্ষী অনার্স কলেজ রয়েছে। আরো কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে দেড় শ বছরেরও পুরাতন। এসব প্রতিষ্ঠানগুলোয় অনার্স-মাস্টার্স চালু রেখে অন্যান্য কলেজগুলোতে ডিগ্রি কোর্স করানো হবে। ডিগ্রি কোর্সের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের কারিগরি ট্রেড পড়ানো হবে। এতে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
তিনি বলেন, অনেকে মনে করছেন, শিক্ষকদের চাকরি থাকবে না। আসলে তা নয়, কর্মরত শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে শিক্ষার্থীদের ট্রেড কোর্স পাড়ানো হবে। শিক্ষার্থীরা ডিগ্রি কলেজগুলোতে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমাও করতে পারবে।
প্রতিনিধি দলকে এ সময় শিক্ষামন্ত্রী জানান, নতুন জাতীয় কারিকুলাম করা হচ্ছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে পাইলটিং শুরু হচ্ছে। ২০২৩ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত (মাধ্যমিক) কারিকুলাম বাস্তবায়ন করা হবে।