শিরোনাম
ভাড়াটিয়াদের আতঙ্কের নাম বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি। নতুন বছর এলেই ইচ্ছামতো ভাড়া বাড়ান অনেক বাড়িওয়ালা। হুট করে বাসা ছাড়ার নোটিশ দেন কেও কেও। দেশে বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন থাকলেও নেই এর প্রয়োগ। তবে, ব্যতিক্রমও আছে, কিছু বাড়িওয়ালা মহামারিতে ভাড়া কমিয়ে ভাড়াটের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সূত্র: আরটিভি
তথ্য মতে, অন্তত দুই কোটি মানুষের বাস তিলোত্তমা নগরী ঢাকাতে। জীবিকার খোঁজে প্রতিদিনই রাজধানীমুখী হচ্ছে মানুষ। বাড়ছে ভাড়া বাসার চাহিদা। বর্তমানে রাজধানীতে বসবাসকারি ৮০ ভাগ মানুষই ভাড়া বাসায় থাকেন। তবে সব ভাড়াটের অভিজ্ঞতা সুখকর না।
ভাড়াটেদের অন্যতম অভিযোগ, প্রতি মাস শেষে কারণে-অকারণে ভাড়া বৃদ্ধির আশঙ্কায় থাকতে হয়। আর বছর গেলে তো কথাই নেই।
বাড্ডার বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম বলছেন, একটা বছর এখনও পুরোপরি যায়নি, অথচ নভেম্বর মাসের শেষে জানতে পারি নতুন বছর থেকে ৩ হাজার টাকা ভাড়া বেশি দিতে হবে। এমন অবস্থায় ভাড়া বৃদ্ধি আমার জন্য খুবই চাপ।
তবে ব্যতিক্রমও আছে, মহামারির শুরুতে বাড়িভাড়া কমিয়ে আর বাড়াননি কোন কোন বাড়িরওয়ালা।
এদিকে দেশে বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণে ১৯৯১ সালের একটি আইন থাকলেও তার প্রয়োগ নেই। নজরদারীর অভাবই এই খাতের বিশৃঙ্খলার মূল কারণ বলে মনে করছেন সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরশেদ।
তিনি বলেন, যারা আইন করেন তারা এই জায়গাটাই পুরোপুরি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। ১৯৯১ সালের আইন কি এখন চলবে? সে সময় যে আইনটা হয়েছে বর্তমানে তারও তেমন কোন কার্যকরি হয়নি।
আইন কেনো হচ্ছে না, জানতে চাইলে এই আইনজীবী বলেন, সংসদে যারা আছেন, তাদের অধিকাংশ ব্যক্তির ঢাকায় বাড়ি-ঘর আছে। তারাতো ভাড়াটিয়া না, সেই দরদটাতো তাদের নেই বলেই আইন করার বিষয়ে তাদের আগ্রহ নেই।
প্রতি মাসের শেষে আর শুরুতে বিপুল সংখ্যক মানুষকে বাসা বদলাতে দেখা যায়। যার অন্যতম কারণ ভাড়া বৃদ্ধি। তবে নিয়মনীতি না থাকায় সবাই যে নতুন ঠিকানায় স্বস্তি খুঁজে পান তেমনটাও না।