টিকার সার্টিফিকেট ছাড়া বাণিজ্য মেলায় যাওয়া নিষেধ

ফানাম নিউজ
  ০৬ জানুয়ারি ২০২২, ১৭:২৩

করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নেয়ার সার্টিফিকেট ছাড়া চলমান ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় যাওয়া যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। আজ বৃহস্পতিবার (০৬ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। সূত্র: আরটিভি

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, বাড়ির বাহিরে মাস্ক ছাড়া বের হওয়া যাবে না। টিকা ছাড়া কেউ স্কুলে আসতে পারবে না। কোভিড সংক্রমণ আরও বাড়লে গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচলের সিদ্ধান্ত হবে। তবে ভাড়া বাড়ানো যাবে না। রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সীমিত জনসমাগম করতে হবে।

তিনি আরও জানান, ১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা নিয়েই স্কুলে যেতে হবে। টিকার সার্টিফিকেট ছাড়া যাওয়া যাবে না বইমেলাতেও।

দুই একদিনের মধ্যে এ বিষয়ে সার্কুলার জারি করা হবে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

করোনাভাইনাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে এবং করোনাপ্রতিরোধী টিকা গ্রহণে উৎসাহী করার লক্ষ্যে মানুষের চলাফেরার ওপর এসব বিধিনিষেধ আরোপ করতে যাচ্ছে সরকার।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহ নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে সে দেশের করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসছে বলে ধরা হয়। সে হিসাবে দেশে করোনা সংক্রমণ হার নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকলেও ফের মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

গত কিছু দিন ধরেই শনাক্ত সংখ্যা ও হার বাড়তির দিকে। ২৪ ঘণ্টার হিসেবে বুধবার করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে ৮৯২ জনের দেহে, যা গত ২৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

এদিন শনাক্তের হার ছিল হার ৪ দশমিক ২০, যা ২৮ সেপ্টেম্বরের পর সবচেয়ে বেশি।

এর মধ্যে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনও দেশে শনাক্ত হয়েছে। এই ধরন অনেক বেশি সংক্রামক বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই করোনার নতুন ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আগেভাগেই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে সরকার। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী সারাবিশ্বে করোনার ‘ওমিক্রন’ আতঙ্ক চলার মধ্যেই সম্প্রতি ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলে করোনাভাইরাসের নতুন আরেকটি ধরন শনাক্ত হয়েছে, যেটির নাম ‘আইএইচইউ’। ইতিমধ্যে নতুন এ ধরনে আক্রান্ত ১২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। মেদিতেহানি ইনফেকশন ইউনিভার্সিটি হসপিটাল ইনস্টিটিউটের (আইএইচইউ) গবেষকেরা এসব তথ্য জানিয়েছেন। এই নতুন ধরন কতোটা শক্তিশালী বা প্রাণঘাতি এখন সেটিই গবেষণা করে বের করার কাজে ব্যস্ত রয়েছেন গবেষকরা।