শিরোনাম
মিরপুরে বোটানিক্যাল গার্ডেনে মশার প্রজননস্থল দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) বোটানিক্যাল গার্ডেনে ঝটিকা পরিদর্শনে গিয়ে এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। মেয়রের এমন পরিদর্শনের একটি ভিডিও ডিএনসিসির ফেসবুক পেজে লাইভ করেছেন তার সঙ্গে থাকা ব্যক্তিদের একজন।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, বোটানিক্যাল গার্ডেনের বিভিন্ন ডোবা ঘুরে দেখছেন মেয়র। এসব ডোবায় কচুরিপানায় মশার প্রজননস্থল দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
মেয়র বলেন, বোটানিক্যাল গার্ডেনের কচুরিপানার ভেতরে কোটি কোটি মশা। আমরা বোটানিক্যাল গার্ডেন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ছিলাম, কচুরিপানাগুলো পরিষ্কার করার জন্য। কিন্ত তারা পরিষ্কার করেনি।
তিনি বলেন, বোটানিক্যাল গার্ডেন এখান থেকে কিন্তু টাকা ইনকাম করে। প্রত্যেক দর্শনার্থী থেকে ২০ টাকা করে নেওয়া হয়। কিন্তু দর্শনার্থীরা সুন্দরভাবে নিশ্বাস নিতে পারবে না। এখানে মশা আর মশা।
ভিডিওতে মেয়র আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, এখানকার যারা কর্মকর্তা আছেন আমি সকালে এসে তাদের কাউকে পাইনি, একজন দারোয়ান ছাড়া। এখানে যারা দায়িত্বশীল আছেন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আছেন তার সঙ্গে আমি কথা বলবো। বোটানিক্যাল গার্ডেনের কচুরিপানা পরিষ্কারের দায়িত্ব তাদের নিতে হয়। আমরা আশা করি তারা মশার এই হটস্পট পরিষ্কার করবে।
মেয়রের আসার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক গার্ডেনের এক কর্মচারী ছুটে আসেন। এসময় তার মুঠোফোন থেকে গার্ডেনের পরিচালককে কল দিতে বলেন মেয়র।
ভিডিওতে দেখা যায়, মুঠোফোনে ডিএনসিসি মেয়র বোটানিক্যাল গার্ডেনের পরিচালককে বলতে থাকেন, ডাইরেক্টর সাহেব, আমি যে জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলাম মশা তো আমাকে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। এই মশার প্রজননস্থল কবে ক্লিন শুরু করবেন বলেন আমাকে। আমি সাতদিন পর আবার আসবো। আমি কোনো ডোবা কচুরিপানা দেখতে চাই না। কারণ এখান থেকে মশাগুলো ৩-৪ কিলোমিটার উড়াল দিতে পারে। আশপাশে সব এলাকায় মশার ছড়িয়ে পড়ে। সাতদিন পর কোনো কচুরিপানা দেখতে চাই না।
সূত্র: জাগো নিউজ