শিরোনাম
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনায় দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম রাসেল শেখ (৩৮)। ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ৯টা ৫৫ মিনিটে রাসেল শেখের মৃত্যু হয়।
এ নিয়ে লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনায় বার্ন ইনস্টিটিউটে আসা দগ্ধদের মধ্যে চারজনের মৃত্যু হলো। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন রাসেলের দুই সন্তান ১৪ বছরের কিশোর জীবন ও নয় বছরের শিশু ইমন। এ ঘটনায় রাসেলের আরও তিন স্বজন মারা গেছেন। দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনজন।
রাসেলের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি জানান, আগুনে রাসেলের শ্বাসনালিসহ ১৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন থাকার পর সোমবার বেলা ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় এখনো দুজন আইসিইউতে আছেন। সব মিলিয়ে ভর্তি রয়েছেন ১২ জন।
রাসেলের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ময়না জানান, রাসেলের বাড়ি খুলনা সদরের শিববাড়ি এলাকায়। তার বাবার নাম আব্দুল গাফফার শেখ। রাসেল ঢাকায় সবুজবাগ থানার মাদারটেক এলাকায় থাকতেন। একটি রুটির দোকানের ভ্যানগাড়ি চালাতেন তিনি। ঢাকা থেকে পরিবারসহ ঝালকাঠিতে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় রাসেলের স্ত্রী পুতুল এবং শ্যালক কালু ও রবিন দগ্ধ হয়েছেন। তারা বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এছাড়া রাসেলের শাশুড়ি মনোয়ারা বেগম, কালুর স্ত্রী রুমা আক্তার, তার পাঁচ বছর বয়সি মেয়ে অহনা ঘটনাস্থলেই মারা যান।
বার্ন ইনস্টিটিউট সূত্র জানায়, গত বুধবার সন্ধ্যায় বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে শাহিনুর খাতুন স্বপ্না নামে এক নারীর মৃত্যু হয়। আর ঘটনার পরদিন রাতে মারা যান হাবিব খান নামে একজন। এছাড়া ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মৃত্যু হয় তামিম নামে এক শিশুর।
২৩ ডিসেম্বর রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটি ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকার আসার পর হঠাৎ সেটিতে আগুন ধরে যায়। এতে অগ্নিকাণ্ডে এবং নদীতে ঝাঁপ দিয়ে এ পর্যন্ত ৪৭ জনের প্রাণহানি হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৩০ জন।
সূত্র: যুগান্তর