শিরোনাম
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘কোনো কোনো দেশ বাংলাদেশের ওপর অসন্তুষ্ট। এই অসন্তুষ্টির কারণ খুঁজে বের করে তা দূর করার চেষ্টা চলছে।’
সোমবার (৩ জানুয়ারি) তার দপ্তরে নতুন বছরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির চ্যালেঞ্জ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই। আমরা আমাদের বৈদেশিক সম্পর্কের মূলনীতি ‘কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব’ মেনেই কাজ করছি। আমরা সেই নিরপেক্ষ নীতি ধরে রাখতে চাই। আমরা সবার সঙ্গে আরও বেশি সম্পৃক্ত হতে চাই।”
এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, ‘কিছু কিছু দেশ কী কারণে অসন্তুষ্ট, সেটি আমরা শোধরানোর চেষ্টা করবো। তারা কোনো মিথ্যা তথ্যের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে থাকলে আমরা তাদের সত্য তথ্য দিয়ে বোঝাবো। আশা করি তারা বুঝবে। কারণ ওই সব দেশের নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তারা দায়িত্বশীলও বটে। তাছাড়া আমরা আমাদের দুর্বলতাগুলোও চিহ্নিত করে তা সংশোধনের চেষ্টা করবো।’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে লেখা চিঠির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দেখি কী জবাব আসে। আমরা তাদের জবাবের অপেক্ষায় রয়েছি। আশা করি তাদের জবাবে ইতিবাচক কিছু আসবে, আমরা এ নিয়ে আশাবাদী।’
ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনকে চিঠি পাঠিয়েছেন মোমেন। চিঠিতে র্যাব ও সংস্থাটির সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দেওয়া নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনার জন্য ব্লিঙ্কেনকে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাব ও সংস্থাটির সাবেক-বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর গত বছরের ১০ ডিসেম্বর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে পৃথকভাবে এই নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট (রাজস্ব বিভাগ) ও পররাষ্ট্র দপ্তর।
মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতি অনুসারে, নিষেধাজ্ঞার তালিকায় র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ ছাড়াও রয়েছেন- র্যাবের বর্তমান মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) তোফায়েল মোস্তফা সরওয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মো. জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মো. আনোয়ার লতিফ খান।
বেনজীর আহমেদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের নিষেধাজ্ঞার আওতায়ও পড়েছেন তিনি। এছাড়া পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিতে র্যাব-৭ এর সাবেক অধিনায়ক (লেফটেন্যান্ট কর্নেল) মিফতাহ উদ্দীন আহমেদের নাম উল্লেখ করা হয়।