শিরোনাম
জি২০-র শীর্ষ সম্মেলনের বৈঠকে আসা নেতাদের জন্য ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু যে নৈশভোজের আয়োজন করেছেন তাতে অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বোন শেখ রেহানা। এছাড়াও নৈশভোজে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) এই নৈশভোজের আয়োজন করেন দ্রৌপদী মুর্মু। সেখানে বিদেশি অতিথিদের পাশাপাশি সব কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, সচিব ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও উপস্থিত হয়েছিলেন বলে নিশ্চিত করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
জি২০-র শীর্ষ বৈঠকে আগত নেতাদের সম্মানে শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩) দিল্লির প্রগতি ময়দানে ভারত মন্ডপমের মাল্টি-ফাংশন হলে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু আয়োজিত নৈশভোজে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কুশল বিনিময় করেন।
এর আগে সম্মেলনের প্রথম দিন সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি মুর্মূর নৈশভোজের আমন্ত্রণপত্র থেকেই ভারতের নাম নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। আমন্ত্রণপত্রে প্রথা অনুযায়ী ‘প্রেসিডেন্ট অব ইন্ডিয়া’র পরিবর্তে লেখা ছিল ‘প্রেসিডেন্ট অব ভারত’। সেই আমন্ত্রণপত্র পান মমতাও। এরপরেই তিনি রাজ্য সরকারের একটি অনুষ্ঠানে ভারতের নাম নিয়ে কেন্দ্র সরকারের কড়া সমালোচনা করেন গত মঙ্গলবার।
মমতা বলেন, ‘এখন তো ইন্ডিয়ার নাম পরিবর্তন করে দিচ্ছে শুনলাম। মাননীয় রাষ্ট্রপতির নামে যে কার্ড হয়েছে, জি-২০-এর নৈশভোজের জন্য, তাতে লেখা আছে ভারত। আরে…ভারত তো আমরা বলিই, এতে নতুনত্ব কি আছে? ইংরেজিতে বলি ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান কনস্টিটিউশন। আর হিন্দিতে বলে ‘ভারত কা সমবিধান (সংবিধান)’। ভারত তো আমরাও জানি। মনে নেই (গান) ‘ভারত আমার ভারতবর্ষ স্বদেশ আমার স্বপ্ন গো’।
মমতা আরও বলেন, ‘নতুন করে কিছু বলার নেই, কিন্তু ইন্ডিয়ার নামটা সারা বিশ্বে চেনে। হঠাৎ এমনকি হলো যে দেশের নামও পরিবর্তন হয়ে যাবে? কবি ঠাকুরের (রবীন্দ্রনাথ) নামও কবে পাল্টে যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নাম সব পরিবর্তন করে দিচ্ছে। বড় বড় ঐতিহাসিক সৌধ - তার নামও পরিবর্তন করে দিচ্ছে। ইতিহাসকেই পরিবর্তন করে দিচ্ছে।’
জি২০-র শীর্ষ বৈঠকে আগত নেতাদের সম্মানে শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩) দিল্লির প্রগতি ময়দানে ভারত মন্ডপমের মাল্টি-ফাংশন হলে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু আয়োজিত নৈশভোজে বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মতবিনিময় করছেন।
এই বক্তব্যের পরে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানানো হয়, রাষ্ট্রপতির নৈশভোজে অংশ নিতে শনিবার দুপুরে দিল্লি যাবেন মমতা। পরদিন আবার কলকাতায় ফিরে ১২ সেপ্টেম্বর ইউরোপের উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি।