স্বস্তির যাত্রা এক্সপ্রেসওয়েতে

ফানাম নিউজ
  ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৫১

সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে খুলে দেয়া হয়েছে। ভোর ছয়টায় খুলে দেয়ার পর বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। তবে প্রথম দিনের প্রথম প্রহরে প্রাইভেট কার ও হালকা যানবাহন বেশি চলাচল করছে। গণপরিবহন ও ভারী পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করতে দেখা যায়নি। কিছু সিএনজি অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল বিজয় সরণি র‍্যামপ দিয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশের বাধার মুখে উঠতে পারেনি।

মাত্র ১০ থেকে ১১ মিনিটে কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যাওয়া যাচ্ছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর দিয়ে। প্রথম দিনের শুরুতে এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারকারী যাত্রী এবং চালকরা জানান, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ার উত্তরা মুখী যানজটের ভোগান্তি কিছুটা হলেও কমবে। এখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা আর বসে থাকতে হবে না গাড়িতে। ভোগান্তি কমে যাওয়ায় কাওলা থেকে ফার্মগেট এলাকায় আগত প্রাইভেটকারের যাত্রী ও চালকরা উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন।

রবিবার সকাল ৬টায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। কিন্তু তার আগে থেকেই বিজয় স্মরণী রেম্পের সামনে প্রাইভেটকার সহ হালকা যানবাহনের লাইন পরে। গেট খোলার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় বাধাহীন পথচলা।

কৃষি অধিদপ্তরের গাড়ি চালক সাইফুল ইসলাম জানান, ১১ মিনিটে গাড়ি চালিয়ে ফার্মগেট এসে পৌঁছেছি। টোল প্লাজা ছাড়া আর কোথাও গাড়ি থামাতে হয়নি। যানজট ছাড়া সড়কে গাড়ি চালাতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। ৮০ টাকা টোল দিয়ে বিমানবন্দর থেকে এগারো মিনিটে ফার্মগেট এসে পৌঁছেছি।

মাইক্রোবাস চালুক শুকুর আলী জানান, এক্সপ্রেসওয়ের উপরে প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস সহ হালকা যানবাহন কম সংখ্যক চলাচল করছে। যাত্রীবাহী কোন বাঁচবে আমি নিবাস চলাচল করছে না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দূরপাল্লার বাস ছাড়া রাজধানীর গণপরিবহন গুলোর উড়ল সড়ক হয়ে চলাচলের সুযোগ খুব কম। কারণ উপর উড়ালের উপরে জাতীয় উঠানোর ব্যবস্থা নেই, নেই কোন বাস স্টপেজ। বাসগুলো উপর দিয়ে চললে যাত্রী পাবে না। এ কারণে গণপরিবহন গুলো পুরসহ ব্যবহার করবে না বললেই চলে।