শিরোনাম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির অধিকার প্রশ্নে কোন ছাড় দেননি। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৬৬ সালের ছয় দফা দাবি এবং ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান থেকে পর্যায়ক্রমে দেশের স্বাধীনতার প্রশ্নে অটল ও নির্ভীক ছিলেন। হাজার বছরের পরাধীন বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতা সংগ্রামের মূলমন্ত্রে তিনি এক সূত্রে গাঁথতে পেরেছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানি শাসকদের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে নিজ জীবনের বেশিরভাগ সময় জেলে ও নির্যাতনের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু বাঙালির স্বাধিকার প্রশ্নে বিন্দুমাত্র ছাড় তিনি দেননি।
মন্ত্রী বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে মহান নেতা আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন আমরা তাকে রক্ষা করতে পারিনি। বরঞ্চ আমাদেরই কিছু কুলাঙ্গার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে ইতিহাসের জঘন্যতম অপরাধ সংঘটিত করেছিল।
এ সময় তিনি স্বাধীনতার পরে মাত্র সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধুর হাতে দেশের উন্নয়নের চিত্র বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ অনেক আগেই উন্নত দেশের কাতারে শামিল হতে পারত।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এ সময় লাকসাম মনোহরগঞ্জসহ বৃহত্তর কুমিল্লার উন্নয়নে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন, কুমিল্লাকে একটি আধুনিক শহর হিসাবে গড়ে তোলার জন্য যে যে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার তার সবই করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারস, বাংলাদেশ মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু পরিষদ লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, ঢাকা কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদ’ লাকসাম-মনোহরগঞ্জের সভাপতি মো. অহিদ উল্লাহ মজুমদার, উপস্থিত ছিলেন ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদ’ লাকসাম-মনোহরগন্জ্ঞের সাধারণ সম্পাদক মো. ওসমান গনি ভূঁইয়া, লাকসাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট ইউনুস ভূইঁয়া, মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন, লাকসাম পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রফিকুল ইসলাম হীরা, লাকসাম পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক আবুল খায়ের।