শিরোনাম
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার যাত্রায় শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রদর্শিত পথ, আদর্শ, দিক-নির্দেশনা আমাদের জন্য হতে পারে অনুকরণীয় মডেল।
শনিবার (৫ আগস্ট) শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকীতে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক দিবসটি জাতীয়ভাবে পালনের উদ্যোগকেও স্বাগত জানান তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল স্বাধীন বাংলাদেশের ক্রীড়া জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র। ব্যক্তিগত প্রজ্ঞা, যোগ্যতা, মেধা-মনন আর অসামান্য সাংগঠনিক দক্ষতার সমন্বয়ে তিনি পথপ্রদর্শক হয়ে বাংলাদেশে আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের ক্রীড়া প্রবর্তনে কাজ করে গেছেন। শেখ কামালকে স্মরণীয় করতে ক্রীড়াক্ষেত্রে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ‘শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার ২০২৩’ প্রদান নিঃসন্দেহে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, শেখ কামাল ছিলেন বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী। তিনি ছিলেন দেশের সেরা ক্রীড়া সংগঠক, ক্রীড়াবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, ছাত্র হিসেবেও অত্যন্ত মেধাবী। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি মনে-প্রাণে দেশীয় সংস্কৃতির লালন ও চর্চা করতেন। খেলাধুলা, সংগীত, অভিনয়, বিতর্ক, উপস্থিত বক্তৃতাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার অবদান ছিল অপরিসীম।
তিনি ছিলেন তারুণ্যের রোল মডেল। মহান মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গন থেকে ফিরে এসে তিনি বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে আত্মনিয়োগ করেন। ফুটবল, ক্রিকেট, বাস্কেটবল ও হকি খেলায় পারদর্শীদের তিনি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খুঁজে আনতেন। অফুরন্ত প্রাণশক্তির অধিকারী শেখ কামাল ছিলেন অতি বিনয়ী, নম্র, নির্লোভ, নিরহংকার ও সদালাপী। তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে সহজ-সরলভাবে মিশতেন।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল আজ আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু তিনি রেখে গেছেন তার নীতি, আদর্শ, কর্মপন্থা ও দিক-নির্দেশনা, যা নিঃসন্দেহে আজ আমাদের চলার পথের পাথেয়। আবাহনী ক্রীড়াচক্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। আর ‘স্পন্দন শিল্পীগোষ্ঠী’ প্রতিষ্ঠা করে সংস্কৃতির জগতে তিনি হয়ে আছেন অমর। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।