পিজিআর সদস্যদের সততা-দক্ষতা মুগ্ধ করে: প্রধানমন্ত্রী

ফানাম নিউজ
  ০৬ জুলাই ২০২৩, ০১:৫১

প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) সদস্যদের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাদের সাহসিকতা সততা, আন্তরিকতা, পেশাগত দক্ষতা এবং কর্তব্যনিষ্ঠা মুগ্ধ করে।

বুধবার (৫ জুলাই) ঢাকা সেনানিবাসে পিজিআরের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

পিজিআর সদস্যদের বাহিনীর সুনাম ধরে রাখার আহ্বান জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, দেশপ্রেম এবং এই সততা নিয়েই আপনারা কাজ করে যাবেন, অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন।

সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনীসহ প্রতিটি প্রতিষ্ঠান যাতে উন্নত হয়, তার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি। আমার সবসময় এটাই লক্ষ্য ছিল, প্রতিষ্ঠানগুলোকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করে গড়ে তুলব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী কাজ করে, পুলিশ বাহিনী কাজ করে। তারাও যেন অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে, সমান তালে চলতে পারে। কোনোভাবেই তারা যেন পিছিয়ে না থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিই।

প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, জাতির পিতা সবসময় প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিতেন। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমরাও প্রশিক্ষণকে গুরুত্ব দিই।

বিগত বছরগুলোতে সরকারের নেওয়া নানা উন্নয়ন কাজের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে, আপনারা জানেন ২০০৬ সালে আমাদের বাজেট ছিল মাত্র ৬১ হাজার কোটি টাকা। এবার আমরা বাজেট দিয়েছি ৭ লাখ ৬১ হাজার হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার। এটি দেওয়ার মতো সক্ষমতা ইতোমধ্যে আমরা অর্জন করেছি। সেটিই আমরা যথাযথভাবে কার্যকর করে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখব।

বৈশ্বিক সংকটের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানান।

খাদ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা জোরদার করে সংকট মোকাবিলা করার পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, আমরা খাদ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেব।

আগামী দিনেও বাংলাদেশের অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে আশা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা এমন বাংলাদেশ গড়ে তুলছি, যেন কারো মুখাপেক্ষী হতে না হয়।

নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সম্মান বৃদ্ধি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের পর আগের মতো উন্নয়ন অংশীদাররা বেশি শর্ত দেয় না।

২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা-দারিদ্র মুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এবং পিজিআর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খালেদ কামাল।

অনুষ্ঠানস্থল ঘুরে ঘুরে প্রধানমন্ত্রী পিজিআর সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। পরে তিনি পিজিআরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি কেক কাটেন।

বিভিন্ন সময় দায়িত্ব পালনকালে নিহত পিজিআর সদস্যদের পরিবার এবং আহত সদস্যদের মধ্যে উপহার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠান মঞ্চে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম।