শিরোনাম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগে যারা মনে করতো আমরা শুধু হাত পেতে চলবো, এখন আর সেটা মনে করে না। কারো কাছে হাত পেতে আমরা চলবো না। আমাদের উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে টাকা ধার নিই, হাত পাতি না। ধার নেয়া অর্থ সুদ সহ ফেরত দিই। আগে ভাবনাটা এমন ছিল যে আমরা ভিক্ষা নিচ্ছি।
বুধবার (৫ জুলাই) দুপুরে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ ছিল। আমাদের একটা বদনাম দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি সেটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম। আমি ঘোষণা দিয়েছিলাম নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করব। আজ আমরা সেটা করতে সক্ষম হয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বাংলাদেশকে যেভাবে উন্নত করতে চেয়েছিলেন সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তার প্রিয় মাতৃভূমির সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য একটি পেশাদার, প্রশিক্ষিত ও শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি ১৯৭৪ সালের ১১ জানুয়ারি কুমিল্লা সেনানিবাসে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি গড়ে তোলেন। তিনি কম্বাইন্ড আর্মস স্কুল এবং সেনাবাহিনীর প্রতিটি কোরের জন্য স্বতন্ত্র ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন। সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়নে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করি আমরা। ১৯৯৮ সালে ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ’ এবং ‘মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি', ১৯৯৯ সালে ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং' এবং ‘আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল কলেজ' প্রতিষ্ঠা করি।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গত সাড়ে ১৪ বছরে দেশের প্রতিটি সেক্টরে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন করেছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। আমাদের মাথাপিছু আয় ২০০৬ সালে ৫৪৩ মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলার হয়েছে। আমরা দারিদ্র্যের হার ৪১.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৮.৭ শতাংশ এবং অতিদারিদ্র্যের হার ৫.৬ শতাংশে নামিয়ে এনেছি।
সরকারপ্রধান বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছি। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের দিকে ধাবিত হচ্ছি। সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আমাদের নিজেদের অর্থে বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। ফলে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের সক্ষমতা ও মর্যাদা বহুলাংশে বেড়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করেছিলাম। ২০২০ সালে আমরা জাতির পিতা জন্মশত বার্ষিকী, ২০২১ সালের স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করব, উদযাপনের সময় দেশ যেন অন্তত এক ধাপ এগিয়ে যায় সেটাই আমাদের লক্ষ্য ছিল। সেজন্য আমি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং প্রেক্ষিত পরিকল্পনা করে আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাই। আজকের বাংলাদেশ আমাদের সেই রূপকল্প বাস্তবায়ন করে আমরা যখন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশত পালন করছি তখন কিন্তু বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে।