শিরোনাম
ঈদ শেষে কর্মজীবী মানুষ ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে। তবে রাস্তায় এখনো চাপ না থাকায় ভোগান্তি ছাড়াই নির্বিঘ্নে ঢাকায় ফিরছে সবাই।
সোমবার (৩ জুলাই) ভোর থেকে বাস, ট্রেন ও লঞ্চগুলো যাত্রী দিয়ে ঢাকায় ফিরেছে। ট্রেন যাত্রীরা সবচেয়ে বেশি স্বস্তি নিয়ে ঢাকায় ফিরেছেন। সড়কের কোথাও কোন যানজট না থাকায় নির্ভীক নেই ঢাকায় ফিরেছেন বাসের যাত্রীরা। বৈরী আবহাওয়া না থাকায় লঞ্চের যাত্রীরাও স্বস্তি নিয়ে ফিরেছেন কর্মস্থলে।
সোমবার (৩ জুলাই) ভোর চারটার থেকেই সদরঘাট টার্মিনাল সরগরম হয়ে ওঠে। বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, হুলারহাট, ভান্ডারিয়া, রাঙ্গাবালী, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, চাঁদপুর, ভোলা থেকে যাত্রা নিয়ে লাঞ্চগুলো নিরাপদেই সদরঘাটে পৌঁছেছে।
যাত্রীর চাপ গত কয়েক দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে বলে জানান বরিশাল থেকে আসা কুয়াকাটা ২ লঞ্চের স্টাফ নাসির।
বরিশাল থেকে আসা যাত্রী নিজামুদ্দিন জানান, লঞ্চে তেমন যাত্রী ছিল না। আবহাওয়া ভালো ছিলো। তাই অনেকটা স্বস্তি নিয়েই সবাই ঢাকায় ফিরেছেন।
এদিকে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে যাত্রী নিয়ে বাসগুলো ভোরেই গাবতলী বাস টার্মিনালে এসে থামতে শুরু করে। প্রতিটি বাস ৩০-৩৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকায় ফিরেছে।
রংপুর থেকে আসা মোজাম্মেল জানান, তিনি মিঠাপুকুর থেকে বাসের টিকিট কেটে ঢাকায় রওনা হয়েছেন। নির্ধারিত ভাড়া দিয়েই এসেছেন বাড়তি ভাড়া দিতে হয়নি। যানজট না থাকায় রাস্তায় কোথাও কোনো ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। এবার ঈদে যাওয়া এবং আশা স্বস্তিদায়ক হয়েছে। গাবতলীর পৌঁছার পর বাসায় যেতে সিএনজি এবং রিক্সার জন্য ডবল ভাড়া গুণতে হচ্ছে। রংপুর থেকে আসা আগমনী পরিবহনের কর্মী কামাল হোসেন বলেন, রংপুর থেকে তাদের সব বাসগুলো সকাল ৮টার মধ্যে গাবতলীতে পৌঁছেছে। মহাসড়কে কোনো যানজট নাই।
শ্যামলী পরিবহনের ম্যানেজার প্রকাশ জানান, গত কয়েকদিনের তুলনায় সোমবার ঢাকায় ফেরা যাত্রীর চাপ কিছুটা বেড়েছে। কোনো মহাসড়কেই যানজট নেই। এ কারণে ঢাকায় আসতে বেশি সময় লাগছে না একটানে চলে আসছে।
কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রার সবচেয়ে বেশি। বিভিন্ন জেলা থেকে ট্রেনগুলো পূর্ণ আসনে যাত্রী নিয়েই ঢাকায় ফিরছে। ট্রেনের যাত্রীরা সবচেয়ে বেশি শাস্তি নিয়ে ঢাকায় ফিরেছে। ট্রেনে ওঠার পর থেকে কমলাপুর পৌঁছানো পর্যন্ত কোথাও কোনো ঝামেলা পোহাতে হয়নি। চট্টগ্রাম সিলেট উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার ট্রেনগুলো নির্দিষ্ট সময়েই কমলাপুর রেলস্টেশনে এসে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে।