শিরোনাম
ঈদুল আজহা উপলক্ষে রেলের ঈদ যাত্রা শুরু হলো আজ শনিবার (২৪ জুন)। তবে অনলাইনে টিকেট বিক্রি হওয়ায় কমলাপুরে তেমন যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন নেই। শুধুমাত্র ২৫ শতাংশ স্টান্ডিং টিকেটের জন্য বেশকিছু মানুষকে লাইনে দাড়াতে দেখা গেছে। আর কমিউটার ট্রেনের জন্য নিত্যদিনের যাত্রীদের আনাগোনা।
এর আগে, ঈদ উপলক্ষে চলাচলকারী ট্রেনগুলোর অগ্রিম টিকিট শতভাগ অনলাইনে বিক্রি করা হয় গত ১৪ জুন থেকে।
আজ শনিবার (২৪ জুন) থেকে ঈদের ট্রেন বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রী পরিবহন শুরু করে। ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা, বাঁশের বেড়ার মধ্য দিয়ে যাত্রীদের টিকেট চেকিং করে প্লাটফর্মে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে।
দিনের প্রথমে আন্তঃনগর ট্রেন ধূমকেতু এক্সপ্রেসের মাধ্যমে ঈদযাত্রা শুরু হয়। সকাল ছয়টা থেকে পর পর সুন্দরবনসহ বেশ কিছু ট্রেন ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। যাত্রীদের নির্বিঘ্নে সিটে বসে যাত্রা করতে দেখা গেছে।
এর আগে গত ৩০ মে এক ব্রিফিংয়ে রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন ঈদের ট্রেন চলাচলের সূচি জানিয়েছিলেন। মন্ত্রীর দেয়া তথ্যানুযায়ী ২৪ জুন শুরু হয়ে ২৮ জুন পর্যন্ত ঈদ সার্ভিস চলবে।
একইভাবে ঈদের ফিরতি ট্রেনের সার্ভিস শুরু হবে ১ জুলাই। চলবে ৬ জুলাই পর্যন্ত।
চলবে বিশেষ ট্রেন
রেলের কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, ২৬ জুন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ও ঈদের পরদিন থেকে পাঁচদিন চাঁদপুর-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ, ঢাকা পঞ্চগড়সহ ৬ জোড়া বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে।
এক জোড়া বিশেষ ট্রেন চলবে ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটে। আর ৪ জুন থেকে ঢাকা-চিলাহাটি-ঢাকা রুটে চিলাহাটি এক্সপ্রেস নামে একজোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালু হবে বলেও জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
চলবে ঢাকা পাবনা ট্রেনটিও। তবে ঈদ উপলক্ষে মৈতী ও বন্ধন ট্রেন দিটির যাত্রা স্থগিত করেছে রেলওয়ে।
চার কাউন্টারে স্ট্যান্ডিং টিকিট
ঈদযাত্রায় ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে প্রতিদিন ৩২ হাজার আসনে যাত্রী পরিবহনের পরিকল্পনা রয়েছে রেলের। মোট আসনের ২৫ শতাংশ টিকিট দাঁড়িয়ে (স্ট্যান্ডিং টিকিট) যাওয়া যাত্রীদের কাছে বিক্রি করা হবে।
স্ট্যান্ডিং টিকিট পাওয়া যাবে শুধু ঢাকার কমলাপুর, ক্যান্টনমেন্ট ও বিমানবন্দর এবং গাজীপুরের জয়দেবপুর স্টেশনে। মাঝপথে বিরতি নেয় এমন কোনো স্টেশনে স্ট্যান্ডিং টিকিট পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
যুক্ত হচ্ছে অতিরিক্ত ইঞ্জিন ও বগি
এদিকে রেলের অবহিতকরণ সভায় ঈদযাত্রার ট্রেনে অতিরিক্ত ইঞ্জিন ও বগি যুক্ত করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ঈদযাত্রায় ৬৫টি অতিরিক্ত বগি যুক্ত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এরমধ্যে পাহাড়তলী ওয়ার্কশপ থেকে ৪০টি মিটারগেজ ও সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ থেকে ২৫টি ব্রডগেজ বগি আনা হবে।
এছাড়া ঈদকে কেন্দ্র করে পূর্বাঞ্চলে ১১৬টি ও পশ্চিমাঞ্চলে ১০২টি মিলিয়ে মোট ২১৮টি অতিরিক্ত ইঞ্জিন যুক্ত করছে রেলওয়ে।
এছাড়া এবারের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সব আন্তঃনগর ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে রেলকতৃপক্ষ। তবে এক জনের টিকেট অন্য যাত্রীর ভ্রমণ আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ বলে জানিয়েছে রেলওয়ে।