শিরোনাম
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আসন্ন কোরবানির ইদে হেঁসেল মুক্ত স্মার্ট হাট নিশ্চিত করার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের আরো একটি পদক্ষেপ বাস্তবায়ন হয়েছে। এবার স্মার্ট হাটে লেনদেনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে দেড়শ কোটি টাকা।
সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে হোটেল শেরাটনে স্মাট বাংলাদেশ, স্মার্ট হাট শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংক ও ডিএনসিসির যৌথ উদ্যোগে এই জিডিটাল হাটে লেনদেন সেবার উদ্বোধন করা হয়। উত্তরের ৮টি হাটে ডিজিটাল লেনদেন হবে। লেনদেনকৃত টাকা সরাসরি বেপারির একাউন্টে চলে যাবে।
মেয়র আতিক বলেন, গত বছর ২হাজার ৭ শ কোটি টাকার পশু বিক্রি হয়েছিলো স্মার্ট হাটে। এতে চ্যালেঞ্জ ছিলো, এবারো থাকবে তবে সব ধরনের সহায়তা থাকবে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে। ঐ সময় কপোরেশনের সকল ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের জন্য হাটে আলাদা বুথের ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি বলেন, এবারের কোরবানির ঈদে ডিএনসিসি এলাকায় আধঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হবে। ৯ লক্ষ পলিব্যাগ দেয়া হবে বর্জ্য ফেলার জন্য। প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে সকলকে প্রান্তিক পর্যায়ে কাজ করার আহ্বান জানান মেয়র।
মেয়র আতিক বলেন, গুলশান ১নং মার্কেট এরমধ্যেই ক্যাশলেস করা হয়েছে। আগামী ১ বছরের মধ্যেই উত্তরের সব মার্কেট ক্যাশলেস করা হবে। প্রতি মার্কেটের ক্যাশলেস করতে মার্কেট সভাপতিদের ডেকে বৈঠক করা হবে। মার্কেটগুলো ক্যাশলেস হলে ছিনতাইকারীদের দৌরাত্মও কমে যাবে। ট্রেড লাইসেন্সের বিষয়ে তিনি বলেন, ৯০ হাজার ট্রেডকেস অনলাইনে দেয়া হয়েছে। রিকশাকে নির্ভরযোগ্য করতে কিউআর কোড দেয়া হবে৷ এ সময় হোল্ডিং ট্যাক্স অনলাইনে দেয়ার আহ্বান জানান তিনি৷
ডিএনসিসির মেয়র বলেন, সবুজে বাস বারো মাস স্লোগানে ২ লক্ষ গাছ লাগানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। বায়ো ডায়ভারসিটি করতে রসকাউ, কাঠবাদাম গাছ লাগানো হবে। এসব গাছ থাকলে নগরে পাখি আসবেই। পরিবেশ বাঁচাতে ইকো ব্যালেন্স খুবই জরুরি। এসিড মশা নিয়ন্ত্রণে সবাইকে সচেতন থেকে নিজের ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান মেয়র আতিক।