শিরোনাম
সরকারের কোনো লবিস্ট নেই উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমাদের কোনো লবিস্ট নেই, বাদ দিয়ে দিয়েছি। বরং যারা লবিস্ট নিয়োগ করেছে তাদের বলেন আল্লাহর ওয়াস্তে দেশটাকে ধ্বংস করার তালে যেন না থাকে।
সোমবার (১৯ জুন) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পদক্ষেপ নিতে ইইউ ভাইস প্রেসিডেন্টকে দেওয়া ছয় ইইউ পার্লামেন্টের চিঠি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এখানে কিছু তথ্যের গরমিল আছে। ভুল আছে, মিথ্যা আছে। যেমন একটি মিথ্যা হলো তারা বলছে যে, গত কয়েক বছরে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে নির্যাতনের শিকার হয়ে ৬০ শতাংশ হিন্দু বিদেশে পালিয়ে চলে গেছেন। এটা তো সত্য নয়। তারা বলছে খ্রিস্টানদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে, এটা তো সত্যি নয়। এগুলো আপনারা তুলে ধরেন, এটা আমার বলার দরকার নেই। তারা কোথায় চিঠি চালাচালি করেছে দ্যাট ইজ দেয়ার হেডেক, আমার নয়। চিঠিটা পড়ে মনে হয়েছে যে অপরিপক্ব হাতের লেখা। আমার তো এসব নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।
সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কিছু বলা হবে কি না বা লবিস্ট নিয়োগ করা হবে কি না জানতে চাইলে মোমেন বলেন, আপনারা বলেন না কেন? আমি কেন বলবো? আমাদের লবিস্ট টবিস্ট নেই, আমরা বাদ দিয়ে দিছি। বরং যারা লবিস্ট নিয়োগ করেছে তাদের বলেন আল্লাহর ওয়াস্তে দেশটাকে ধ্বংস করার তালে থাকবেন না। দেশ আরও এনার্জি পাবে কি করে, দেশে লোকের কর্মসংস্থান বাড়বে কীভাবে, বিনিয়োগ যাতে বাড়ে সেজন্য লবিস্ট নিয়োগ করেন, তাহলে দেশের একটা মঙ্গল হবে। দেশ তো আমার আপনার সবার। যারা অপজিশন তাদেরও দেশটা। সুতরাং দেশটা ধ্বংস করে লাভ নেই। কারণ ধ্বংস হলে সবারই ক্ষতি, তাদের আত্মীয়-স্বজনেরও ক্ষতি। সুতরাং সবার একাগ্রচিত্তে চাওয়া উচিত দেশের মঙ্গল। তারা মঙ্গলের জন্য লবিস্ট নিয়োগ করুক। ওই অকামের জন্য নিয়োগ না করলেই ভালো।
যারা চিঠি লিখেছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমার বক্তব্য হলো, তারা লিখেছে ভাইস প্রেসিডেন্টকে। তারা তা লিখতেই পারে। তবে মিথ্যা তথ্য লিখলে খারাপ লাগে।
ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় কেউ নির্বাচনের আগে আসবে না বলে শোনা যাচ্ছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা স্বচ্ছ। আমরা একটা সুন্দর এবং স্বচ্ছ নির্বাচন করবো। আমরা আমাদের সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যতো ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সুষ্ঠু নির্বাচন শুধু সরকার চাইলেই হয় না, ইলেকশন কমিশন চাইলেই হয় না। আমরা আশা করবো যতো দল আছে সবাই যেন কমিটমেন্ট করে। প্রতিজ্ঞা করবে তারাও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। এবং সেই নির্বাচনে তারা সবাই যুক্ত হবে।
ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার জোট ব্রিকসে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দোয়া করেন, তারা দাওয়াত দিলে আমরা নিশ্চয়ই জয়েন করবো। ফরমাল চিঠি আমরা পাইনি। ব্রিকসের নেতারা চিন্তা করছেন তারা তো এখন পাঁচজন। তারা আরও কিছু দেশকে নেবে। আমরা একটি বড় অর্থনৈতিক দেশ। আমরা পৃথিবীর ৩৫তম ইকোনমি। তারা সৌদি আরব, বাংলাদেশ, ইইউ, ইন্দোনেশিয়াসহ আটটি দেশকে নিয়ে ভাবছে। আমাদের দাওয়াত দিয়েছিল, আমি অংশ নিয়েছিলাম। আমরা আরও টাকা-পয়সা চাই বিভিন্ন দিক থেকে। সুতরাং তারা যদি আমাদের সদস্য করে আমি মনে করি এটা নিয়ে কাজ করবো।