শিরোনাম
মেহেরপুরের গাংনীর রাজা ক্লিনিকে অপারেশনের পর ২০ ধরে রোগীর পেটে আটারি ফরসেফ (এক ধরনের কাঁচি) থাকার ঘটনায় ক্লিনিক মালিক ও অপারেশন সংশ্লিষ্ঠদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মেহেরপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম আদালতের পক্ষে স্বপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছেন। সূত্র: আরটিভি
আদালত সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার নওদা হাপানিয়া গ্রামের আব্দুল হামিদের স্ত্রী বাচেনা খাতুন ২০ বছর আগে পেটের অপারেশন করান গাংনীর রাজা ক্লিনিকে। অপারেশনের পর পেটের ব্যথা কমেনি, বরং বেড়েছে। রাজা ক্লিনিকসহ বিভিন্ন জেলার চিকিৎসকদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও প্রতিকার পাননি তিনি।
সম্প্রতি এক্স-রে করে দেখা মেলে তার পেটের ভেতরে (আটারি ফরসেফ) কাঁচি রয়েছে। রাজা ক্লিনিকে অপারেশনের পর পেটের ভেতের কাঁচির বিষয়ে নিশ্চিত হন বাচেনা খাতুন। গেল ১০ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে অপারেশনের মাধ্যমে তার পেটের সেই কাঁচি বের করেন চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ২০ বছর ধরে পেটে কাঁচি নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রচার হলে মেহেরপুর আদালতের নজরে আসে। পেনাল কোডের ২৮৪, ২৮৭ ও ৪০৬ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ১৩ জানুয়ারি ক্রিমিনাল মিস কেসটি করেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসালাম।
বাচেনার পেটের অপারেশন করেছিলেন সার্জারি বিভাগ বিশেষজ্ঞ ডা. মিজানুর রহমান, অ্যানেসথেসিয়া ছিলেন ডা. তাপস কুমার এবং অপারেশন সহকারি হিসেবে ছিলেন রাজা ক্লিনিক মালিক ও পরিচালক ডা. পারভিয়াস হোসেন রাজা।
জানতে চাইলে মেহেরপুর সিভিল সার্জন ডা. জওয়াহেরুল আনাম সিদ্দিকী বলেন, আদালতের কাগজপত্র পেলেই আমি প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করব। এ বিষয়ে সিভিল সার্জন অফিসের একটি তদন্ত চলমান রয়েছে।