শিরোনাম
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে আজ রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিরতহীন চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ শুরু হলেও ভোটার উপস্থিতি কম লক্ষ্য করা গেছে। সূত্র: আরটিভি
এবার সিটি নির্বাচনের মোট ভোটার ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১জন ভোটার। এরই মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৯ জন, নারী ভোটার ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১৮ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ৪ জন ভোটার। মোট ভোট কেন্দ্র ১৮৭টি এবং ভোট কক্ষ রয়েছে ১ হাজার ৩০১টি। এরই মধ্যে অস্থায়ী ভোট কেন্দ্র ২৫টি।
এবার নির্বাচনে মোট ৭টি দল অংশগ্রহণ করছে। মেয়র পদে নির্বাচন করছেন ৭ জন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৪ জন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে।
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ৩০ জন ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন বলে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম জানান। প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কমপক্ষে ৪ থেকে ৫টি টিম থাকবে। যার প্রতিটি টিমে ৪ থেকে ৫ জন পুলিশ সদস্য ও ২০ থেকে ২২ জন আনসার সদস্য থাকবেন।
এর আগে গতকাল ১৯২টি ভোটের সব সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে মেয়রপদে প্রার্থী ৭ জন। এদের মধ্যে রয়েছেন—খেলাফত মজলিশের এবিএম সিরাজুল মামুন (দেয়াল ঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মোহাম্মদ মাছুম বিল্লাহ (হাত পাখা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন (বটগাছ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মোহাম্মদ রাশেদ ফেরদৌস (হাত ঘড়ি) ও স্বতন্ত্র কামরুল ইসলাম বাবু (ঘোড়া)। তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী (নৌকা) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারকে (হাতি) নিয়েই দেশব্যাপী বেশি আলোচনা হচ্ছে। সুষ্ঠু ভোট হলে সর্বাধিক আলোচিত দুই প্রার্থীই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
এ নির্বাচনে সিটি করপোরেশনের ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে এবং ৯টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গত শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে প্রার্থীরা প্রচারণা শেষ করেছেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ড মিলে প্রায় ২০ লাখ মানুষ বাস করলেও ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৭ জন। এদের মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১৯ এবং পুরুষ ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৪ জন।