শিরোনাম
জেল থেকে বিজয়ী চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ তুফান জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। সোমবার রাজশাহীর একটি আদালত তাকে মুক্তি দেন। সূত্র: যুগান্তর
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আইনবিষয়ক সম্পাদক নুর মোহাম্মদ তুফান বাউসা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তাকে মনোনয়ন না দিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শফিকুর রহমান শফিককে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। তার মনোনয়ন মানতে না পেরে বিদ্রোহী প্রার্থী হন তুফান। তার পর তার প্রার্থিতা প্রত্যাহারে জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতারা তাকে চাপ দিতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত গত ৪ ডিসেম্বর গভীর রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা তুফানের টলটলিপাড়া বাউসার বাড়িতে হামলা চালায়।
সূত্র থেকে আরও জানা গেছে, এ সময় এলাকাবাসী ডাকাত সন্দেহে আওয়ামী লীগ নেতাদের ধরে গণপিটুনি দেয়। পরের দিন ৫ ডিসেম্বর সকালে তুফান মামলা করতে বাঘা থানায় গেলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়। আদালত কয়েক দফা তার জামিন নামঞ্জুর করেন। ভোটের আগে তুফানকে দল থেকে বহিষ্কারও করা হয়। অবশেষে সোমবার রাজশাহীর একটি আদালত তাকে জামিনে মুক্তি দেন।
নুর মোহাম্মদ তুফান জেলে থাকাবস্থায় তার স্ত্রী রোজিনা আকতারি পলি শত বাধা উপেক্ষা করে মানুষের মন জয় করে ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বাউসা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নুর মোহাম্মদ তুফান মোটরসাইকেল প্রতীকে ৮ হাজার ১৬৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। অন্যদিকে নৌকার প্রার্থী শফিকুর রহমান শফিক পেয়েছেন ৫ হাজার ৪২৮ ভোট।
এ বিষয়ে নুর মোহাম্মদ তুফানের স্ত্রী রোজিনা আকতারি পলি বলেন, এই বিজয় বাউসার মানুষের। তারা ব্যালটের মাধ্যমে অন্যায়ের নীরব প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আমার স্বামীকে ভোট থেকে সরাতে চেয়েছিল, জনগণ তাদের লালকার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের করে দিয়েছে। আমার স্বামী জামিনেও মুক্ত হয়েছেন।