শিরোনাম
চুয়াডাঙ্গায় বাচেনা খাতুন নামে এক নারী প্রায় ২০ বছর ধরে পেটে কাঁচি নিয়ে ঘুরছিলেন, অবশেষে অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। সূত্র: আরটিভি
সোমবার (১০ জানুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে অপারেশন সম্পন্ন হয়। এ সময় অপারেশন করেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সার্জারি সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. ওয়ালিউর রহমান নয়ন।
বাচেনা খাতুনের পরিবারের সদস্যরা জানান, বাচেনা খাতুন (৫০) চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের হাঁপানিয়া গ্রামের আবদুল হামিদের স্ত্রী। ২০০২ সালে মেহেরপুরের গাংনীর ‘রাজা ক্লিনিকে’ বাচেনা খাতুনের পেটে পাথর অপারেশন করেন চিকিৎসক। তারপর থেকে পেটের মধ্যে যন্ত্রণা ও ব্যথা অনুভূত হতে শুরু করে। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে ওষুধ খেয়েছেন তিনি। কয়েকবার আল্ট্রাসোনো করেছেন। কিন্তু কিছুই ধরা পড়েনি। অবশেষে ২ জানুয়ারি রাজশাহীতে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে এক্স-রে রিপোর্টে তার পেটের ভেতরে কাঁচি ধরা পড়ে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সার্জারি সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. ওয়ালিউর রহমান নয়ন জানান, এতোদিন স্থানীয়ভাবে চিকিৎসার কারণে বিষয়টি বুঝতে পারেনি বাচেনা খাতুনের পরিবার। আল্ট্রাসনোগ্রামে কাঁচির বিষয়টি উঠে আসেনি। পরবর্তীতে এক্স-রে রিপোর্টে কাঁচির দেখা মেলে। আমরা বাচেনা খাতুনকে পর্যবেক্ষণ করছি।
এদিকে ওই ঘটনায় ‘রাজা ক্লিনিক’ কর্তৃপক্ষের কাছে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন বাচেনা খাতুনের পরিবার।
বাচেনা খাতুনের ছেলে ইয়ামিন আলী জানান, গত ২ জানুয়ারি রাজশাহীর একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আমার মাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। সেখানে এক্স-রে করে চিকিৎসক দেখতে পান মায়ের পেটের মধ্যে কাঁচি রয়েছে।
তিনি আরও জানান, মায়ের চিকিৎসা করাতে গিয়ে আমাদের ১১ কাঠা জমি ও দুটি গরু বিক্রি করতে হয়েছে। আমি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের কাছে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবি জানাচ্ছি।
রাজা ক্লিনিকের স্বত্বাধিকারী ও চিকিৎসক পারভিয়াস হোসেন ওরফে রাজা জানান, সে সময় কর্মরত চিকিৎসক মিজানুর রহমান বাচেনা খাতুনের অপারেশন করেছিলেন। আমি বাচেনা খাতুনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের সুচিকিৎসা ও ওষুধপত্রের ব্যয়ভারও নিয়েছি।