শিরোনাম
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক গ্রুপের লোকজন পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হামলা করেছে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে তাদের। এতে তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জসহ অন্তত ৬ জন পুলিশ আহত হন। সূত্র: আরটিভি
শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার তারাকান্দি যমুনা সার কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আহতরা হলেন, তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল লতিফ, এসআই শফিউল আলম সোহাগ, এসআই সুলতান মাহমুদ, এএসআই মেহেদী হাসান, কনস্টেবল খোকনুজ্জামান ও সোলায়মান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় এমপি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী ধানমন্ডি থানায় জিডি করার পর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিকের লোকজন বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) রাতভর তারাকান্দি এলাকায় আতশবাজি পোড়ায়। পরে শুক্রবার সকালে যমুনা সার কারখানা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। এ সময় পুলিশ এতে বাধা দিলে তারা সংঘর্ষে জড়ায়। পরে রফিক গ্রুপে যুক্ত হওয়া বিএনপির ক্যাডার মোর্শেদকে আটক করে পুলিশ। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হামলা চালায়। এ সময় তদন্ত কেন্দ্রের প্রধান ফটক বন্ধ করে দিলে ওপর দিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল লতিফসহ অন্তত ৬ জন পুলিশ আহত হন।
তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল লতিফ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক জানান, এসব ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তাকে জড়িয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে।