শিরোনাম
অবৈধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগ এনে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহসহ তিনজনকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন ৭ কাউন্সিলর। সূত্র: আরটিভি
সোমবার (৩ জানুয়ারি) বিষয়টি জানিয়েছেন নোটিশদাতাদের আইনজীবী আজাদ রহমান। এর আগে রোববার (২ জানুয়ারি) বিকেলে আইনজীবীর মাধ্যমে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
মেয়র ছাড়া সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও সচিবকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
নোটিশদাতা ৭ কাউন্সিলর হলেন, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৌহিদুল ইসলাম, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের হুমায়ুন কবির, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের জিয়াউর রহমান, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের ফরিদ আহমেদ, ১ নম্বর ওয়ার্ডের আমির হোসেন বিশ্বাস, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের শরীফ মোহাম্মদ আনিসুর রহমান ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের এনামুল হক।
নোটিশে বলা হয়, নোটিশ গ্রহীতারা একই আইনে পরিচালিত হলেও নোটিশ দাতাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে; যা আইনত গ্রহণযোগ্য নয়। নোটিশের অনুলিপি স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সিনিয়র সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, স্থানীয় সরকারের বিভাগীয় পরিচালক, জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক, জনতা ব্যাংক করপোরেট শাখার ব্যবস্থাপক এবং জনতা ব্যাংক লিমিটেড বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক বরাবর রেজিস্ট্রি ডাকযোগে পাঠানো হয়।
আইনজীবী আজাদ রহমান বলেন, ২০১৮ সালের সিটি নির্বাচনে ওই সাতজন কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। তাদেরসহ সব কাউন্সিলরদের সেপ্টেম্বর, ২০২১ পর্যন্ত ৪৩ হাজার ৫০০ টাকা হারে সম্মানি ও অন্যান্য ভাতা দেওয়া হয়। অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে সম্মানি ভাতা ও অন্যান্য ভাতা ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়। নোটিশ গ্রহীতারা ওই ৭ কাউন্সিলর ছাড়া অন্যান্য কাউন্সিলরদের গত বছরের অক্টোবর ও নভেম্বরে সম্মানিসহ অন্যান্য ভাতা ৫০ হাজার টাকা হারে দেওয়া হয়। সমহারে তাদের ডিসেম্বরের বেতন ভাতা দেওয়া প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু নোটিশদাতা ৭ জন কাউন্সিলরকে গত অক্টোবর ও নভেম্বরে ৪৩ হাজার ৫০০ টাকা হারে বেতন-ভাতা দেওয়া হয়। পরবর্তী মাসেও তাদের পুরনো হারে বেতন ভাতা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের আইন উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট গোলাম সরোয়ার রাজিব বলেন, আইনি নোটিশের বিষয়ে কিছু জানা নেই। নোটিশ পেলে বলতে পারব। কী বিষয়ে নোটিশ করা হয়েছে।