শিরোনাম
যুক্তরাষ্ট্রে অল্প সময়ের জন্য হলেও অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে কিছুদিন কাজ করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া ধনকুবের ইলন মাস্ক। সেই সময়টাতে তিনি নিজের স্টার্টআপ গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছিলেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট গত শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইলন মাস্ক ১৯৯৫ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার পালো অ্যাল্টোর স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। তবে তিনি কখনো স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে ভর্তি হননি। বরং পড়ালেখা বাদ দিয়ে তিনি জিপ-২ নামের একটি সফটওয়্যার কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। পরে ১৯৯৯ সালে এই কোম্পানি প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন বিভাগের দুই আইন বিশেষজ্ঞের মতে, বৈধ কাজের অনুমতি বজায় রাখতে মাস্কের একটি পূর্ণকালীন স্নাতকোত্তর বিষয়ে ভর্তি থাকা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু মাস্ক সে সময় সেটি না করেই কাজ করেছেন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে মাস্কের চার কোম্পানি—স্পেসএক্স, টেসলা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোম্পানি এক্স এবং দ্য বোরিং কোম্পানি এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি। মাস্কের আইনজীবী অ্যালেক্স স্পাইরোও কোনো মন্তব্য করেননি।
তবে ওয়াশিংটন পোস্টে উল্লেখিত ২০২০ সালের একটি পডকাস্টে মাস্ক এ বিষয়ে বলেছিলেন, ‘আমি আইনগতভাবেই সেখানে ছিলাম, তবে আমার ছাত্র হিসেবে কাজ করার কথা ছিল। তবে আমাকে যেভাবেই হোক, নিজের খরচ বহন করার জন্য কাজের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওয়াশিংটন পোস্টকে মাস্কের দুজন সাবেক সহকর্মী জানান, মাস্ক ১৯৯৭ সালের দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কাজের অনুমোদন পান।
এদিকে, ইলন মাস্ক আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়েছেন। ট্রাম্প বহু বছর ধরে অভিবাসীদের আক্রমণকারী ও অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করে এসেছেন এবং ২০১৭-২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট থাকাকালে তিনি অভিবাসন রোধে আইনগত কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। পুনর্নির্বাচিত হলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বহিষ্কারের উদ্যোগ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।