শিরোনাম
ভাষাশহীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও একুশের চেতনাকে লালন, ধারণ ও বিস্তার ঘটানোর জন্য ঠাকুরগাঁওয়ে সড়কে রং-তুলিতে আঁকা হয়েছে দীর্ঘ আলপনা। জেলা শহীদ মিনার সংলগ্ন পূর্ব পাশের সড়কে আলপনা আঁকায় অংশ নেন শিশুসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ।
ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় (বড়) মাঠে অবস্থিত জেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আলপনা আঁকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান।
সড়কে আঁকা লাল, নীল, হলুদ, সাদাসহ নানা রঙের বর্ণিল আলপনা মানুষের নজর কেড়েছে।
আলপনা আঁকতে আসা শিফা খানম নামের এক স্কুলশিক্ষক বলেন, ‘ভাষার জন্য কোনো কিছু করতে না পারলেও ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করার জন্য আলপনা আঁকতে আমার খুবি ভালো লাগে। শহীদদের জন্য যেটুকু সময় পাই তা কাজে লাগানোর চেষ্টা করি। তাই আজ এখানে আলপনা আঁকতে এসেছি।'
স্থানীয় মোস্তাফিজুর রহমান রিপন বলেন, ‘একুশের চেতনাকে ধারণ ও বিস্তার করার জন্য আমাদের নতুন প্রজন্ম আলপনা আঁকার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।’
ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী দীপান্বিতা সেন। সেও আলপনা আঁকতে এসেছে। বলে, ‘এর আগে এখানে আলপনা আঁকার সুযোগ পাইনি। প্রতিবার বড় আপুরা এখানে আলপনা আঁকতেন। এবার আমারও সুযোগ হয়েছে। যতটুকু পেরেছি এঁকেছি। আলপনা আঁকতে পেরে খুব আনন্দ লাগছে।’
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিমুন সরকার বলেন, ‘আগে আলপনা এঁকে শিশুসহ নতুন প্রজন্মকে পথ দেখানো হতো। ভাষা আন্দোলনে শহীদরা কতটা ত্যাগ শিকার করেছিলেন তা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ছাত্রলীগের কর্মীরাও আলপনা আঁকায় অংশ নেন।’
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘একুশ মানে ভাষাশহীদদের হারানোর শোক। একুশ মানে মাতৃভাষাকে অর্জনের গৌরব। আমরা আলপনার মাধ্যমে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই একটি কথা—আসুন, আমরা এভাবে সুন্দর করে দেশটা সাজাই।’
সূত্র: জাগো নিউজ