শিরোনাম
বাংলাদেশের ৫ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইরত বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। এ সময় তাদের কাছে মাছ ধরার ট্রলার ছিল বলে জানা গেছে। নাফ নদীর মিয়ানমার সীমান্তের অংশ থেকে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ এসেছে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকেল চারটার দিকে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ নাফ নদীর অংশে বড়শি নিয়ে মাছ ধরতে গেল এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুস সালাম।
আরাকান আর্মির হাতে আটক হওয়া ৫ জেলের পরিচয়- টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের আব্দুল মজিদের ছেলে মো. রাসেল মিয়া (২৩), আব্দুর রহিমের ছেলে মো. আলম (২২), আব্দুল মজিদের ছেলে মো. সাইফুল মিয়া (১৭), মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. বোরহান উদ্দিন (১৯) ও চকরিয়ার খোরশেদ আলমের ছেলে মো. রাশেদ (২৪)।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী অন্যান্য জেলেরা জানান, সোমবার সকালে প্রতিদিনের মতো টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা আবদুল মজিদের মালিকাধীনসহ তিনটি নৌকা নাফ নদীতে মাছ শিকারে যায়। এ সময় আরকান আর্মির সদস্যরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জেলেদের ধাওয়া করে। এতে দুটি নৌকার মাঝিরা পালিয়ে আসতে পারলেও একটি নৌকাসহ পাঁচজন মাঝিকে তারা ধরে নিয়ে যায়।
আটক হওয়া জেলেদের সম্পর্কে ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, ‘৫ জেলেকে মিয়ানমারের কোনো বাহিনী ধরে নিয়ে গেছে। তাদের কারা নিয়ে গেছে সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে সে দেশে চলমান যুদ্ধে রাখাইন রাজ্য আরকান আর্মির দখলে। তাই ধারণা করা হচ্ছে, আরকান আর্মি সদস্যরা তাদের নিয়ে গেছে।’
অপহরণের শিকার জেলে মোহাম্মদ আলমের মা হামিদা খাতুন বলেন, ‘আমার ছেলেসহ ৫ জেলেকে আরকান আর্মির লোকজন ধরে নিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত ছেলের কোনো খোঁজখবর পাইনি।’
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী বলেন, ‘জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি। এ বিষয়ে কোস্ট গার্ড ও বিজিবি সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
বিষয়টি নিয়ে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। আশা করি, তাদের দ্রুত ফেরত আনতে পারবো।’