শিরোনাম
নওগাঁর রানীনগরের বড়িয়া গ্রামের নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর (১৫) সঙ্গে একই উপজেলার খাসগড় গ্রামের রুহুল আমিনের (২২) বিয়ের আয়োজন চলছিল। পরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করে স্থানীয় এক ব্যক্তি বিষয়টি জানান। এরপর রানীনগর থানা-পুলিশের হস্তক্ষেপে ওই বাল্যবিবাহ বন্ধ হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার বড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার দুপুরে ওই ছাত্রীর সঙ্গে রুহুল আমিনের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। এ জন্য দুপুরে বরযাত্রীর লোকজন ওই ছাত্রীর বাড়িতে এসেছিলেন। এর মধ্যে বড়িয়া গ্রামের এক ব্যক্তি ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে বাল্যবিবাহের বিষয়টি পুলিশকে জানান। পরে রানীনগর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিয়ের আয়োজন বন্ধ করে দেয়।
রানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন আকন্দ বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে বাল্যবিবাহ আয়োজনের সত্যতা পাওয়া গেছে। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহযোগিতায় বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত ওই ছাত্রীকে বিয়ে দেওয়া হবে না বলে তার বাবা মুচলেকা দিয়েছেন। এ ছাড়া রুহুল আমিনের বাবা মিঠু মণ্ডলও মুচলেকা দিয়েছেন।
সূত্র: প্রথম আলো