ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রংপুরে সপ্তম ধাপে মিঠাপুকুর উপজেলায় জামায়াতে ইসলামীর উত্থান হয়েছে। ১৭টি ইউনিয়নের মধ্যে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা ৭টিতে বিজয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছে ৩টিতে। জাতীয় পর্টি একটিতেও জয় পায়নি। এছাড়া ৫টিতে মনোনয়নবঞ্চিত আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এবং ২টিতে বিএনপি (স্বতন্ত্র) সমর্থিত প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। 

নির্বাচিতরা হলেন, খোড়াগাছ ইউনিয়নে আসাদুজ্জামান (মোটরসাইকেল, আওয়ামী লীগ-বিদ্রোহী),  রাণীপুকুর ইউনিয়নে আবু ফরহাদ পটু (ঢোল, আওয়ামী লীগ-বিদ্রোহী), পায়রাবন্দ ইউনিয়নে মাহবুবার রহমান মাহবুব (মোটরসাইকেল, জামায়াত), ভাংনী ইউনিয়নে আব্দুল্যাহ আল মামুন (মোটরসাইকেল, জামায়াত), বালারহাট ইউনিয়নে মাওলানা আবুল হাসনাত রতন (মোটরসাইকেল, জামায়াত), কাফ্রিখাল ইউনিয়নে জয়নাল আবেদীন মাস্টার (মোটরসাইকেল, জামায়াত), লতিবপুর ইউনিয়নে ইদ্রিস আলী (আনারস, আওয়ামী লীগ-বিদ্রোহী), চেংমারী ইউনিয়নে রেজাউল কবির টুটুল (আনারস, আওয়ামী লীগ-বিদ্রোহী), ময়েনপুর ইউনিয়নে মোকছেদুল আলম সরকার মুকুল (চশমা, আওয়ামী লীগ-বিদ্রোহী), বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নে শাহজাহান মিয়া (মোটরসাইকেল, জামায়াত), বড়বালা ইউনিয়নে তরিকুল ইসলাম সরকার স্বপন (ঘোড়া, বিএনপি), মিলনপুর ইউনিয়নে আতিয়ার রহমান (নৌকা, আওয়ামী লীগ), শাল্টি গোপালপুর ইউনিয়নে হারুন অর রশিদ তালুকদার (ঘোড়া, বিএনপি),  দুর্গাপুর ইউনিয়নে সাইদুর রহমান তালুকদার (নৌকা, আওয়ামী লীগ), বড় হয়রতপুর ইউনিয়নে আব্দুল মতিন (নৌকা, আওয়ামী লীগ), ইউনিয়নে মাওলানা শফিকুল ইসলাম (মোটরসাইকেল, জামায়াত) এবং ইমাদপুর ইউনিয়নে শফিকুল ইসলাম (মোটরসাইকেল, জামায়াত)। 

মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শোয়েব সিদ্দিকী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

এদিকে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ১৭টি ইউনিয়নের ২২১টি পদে মোট ১ হাজার ১৯২ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১৩১ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৭৭৩ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১৯০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সূত্র: বিডি প্রতিদিন