শিরোনাম
জিহাদ হাসান। উচ্চতা ২ ফুট ৬ ইঞ্চি। জন্মের পর শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়েই বেড়ে উঠেন তিনি । জীবনে চলার পথে শারীরিক এই প্রতিবন্ধকতার জন্য নানাজনের হাসির পাত্র হয়েছেন অসংখ্যবার। তবু থেমে থাকেননি জিহাদ। কষ্ট করে চালিয়ে গেছেন পড়াশোনা। প্রতিজ্ঞা করেছিলেন সফলতার মাধ্যমেই সবার কটু কথার জবাব দেবেন তিনি।
শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে অদম্য জিহাদ এবার ভর্তি হয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে ২০২০-২১ সেশনে ভর্তি হন জিহাদ হাসান।
পটুয়াখালী জেলার দুমকী উপজেলার মো. ফারুক হোসেন ও রেহানা আক্তার দম্পতির ছেলে জিহাদ হাসান।
জানা যায়, সব প্রতিবন্ধকতা জয় করে সাফল্যের সঙ্গে এ বছর গুচ্ছভর্তি পরীক্ষার পর ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে।
অদম্য মেধাবী জিহাদ হাসান ঢাকা বোর্ড থেকে ২০১৮ সালে ৪.৮৭ জিপিএ নিয়ে এসএসসি এবং ২০২০ সালে ৪.২৫ জিপিএ নিয়ে এইচএসসি পাস করেন। সাফল্যের ধারাবাহিকতায় রোববার তিনি উচ্চশিক্ষা অর্জন করতে কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।
জিহাদ হাসান বলেন, আমার দুচোখে অনেক স্বপ্ন। ভবিষ্যতে আমি লেখাপড়া শেষ করে দেশের সেবা করতে চাই। লক্ষ্য আমার বিসিএস ক্যাডার হওয়া। জীবনযুদ্ধে জয়ের পথেই এগিয়ে যেতে চাই।
তিনি আরও বলেন, শারীরিক এই প্রতিবন্ধকতার জন্য নানাজনের কাছে হাসির পাত্র হলেও জীবনযুদ্ধে বাবা-মাসহ পরিবারের সমর্থন ছিল সবসময়ই। পড়াশোনা চালিয়ে যেতে সবসময় তারা উৎসাহ জুগিয়েছেন। বিশেষ করে আমার চিকিৎসক বড় বোন আমাকে সাহস দিয়েছেন ও সাপোর্ট করেছেন সবসময়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পেরে স্বপ্নজয়ের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যেতে পারলাম। আমার সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।
দৃঢ় প্রত্যয়ী জিহাদ হাসান তার স্বপ্নকে ছুঁতে পারবে এই প্রত্যাশা নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী সবার।
সূত্র: যুগান্তর