শিরোনাম
বরগুনার পাথরঘাটা পৌরসভার আনোয়ার হোসেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে জোর করে সহপাঠীর চুম্বন দেয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তারপর থানায় মামলা না নেয়ায় ও আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছে ওই শিক্ষার্থী। সূত্র: আরটিভি
বুধবার স্কুল ছুটির আগেই সহপাঠী বখাটে নাঈম ওই শিক্ষার্থীর স্কুল ব্যাগ ক্লাস থেকে ছিনিয়ে নিয়ে স্কুল গেটে অপেক্ষা করে। ছুটির ঘণ্টা বাজলে শিক্ষার্থীরা বের হয়ে আসার সময় গেটে নাঈমের কাছ থেকে ব্যাগ আনতে গেলে নাঈম তাকে চুম্বন করে। নাঈমের অপর সহপাঠী সবুজ পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে দৃশ্যটি মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে ভাইরাল হয়ে যায়।
ওই শিক্ষার্থীর মা জানিয়েছেন, এক প্রতিবেশি ঐদিনই ভিডিও ফুটেজ আমাকে দেখালে আমি মেয়েকে মারধর করি। মেয়ে আমাকে বিস্তারিত বললে আমি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে অবহিত করি। পরে প্রধান শিক্ষক নাঈমের মাকে জানানো হয়েছে ছেলেকে নিয়ে আসার জন্য। কিন্তু সে ছেলেকে নিয়ে আসেনি।
ওই শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন নাঈম তাকে উত্যক্ত করে আসছিলো। বিষয়টি তার মা ও মামাকে জানানোর পরও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। থানায় মামলা দিতে গেলেও পুলিশ মামলা না নেয়ায় আত্মহত্যা করা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
শিক্ষার্থীর মা আরও বলেন, শুক্রবার রাতে মামলা করার জন্য থানায় যাওয়ার পরে ভাইরাল হওয়া ভিডিও ওসি সাহেবকে দেখাই। তিনি আমাদের অনেক সময় বসিয়ে রাখেন। পরে যোগাযোগ করতে বলে বিদায় দেন। তাদের টাকা আছে বলেই আমরা বিচার পাবনা? এখন সন্মান বাঁচাতে আমাদের আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কিছু করার নেই।
ওই শিক্ষার্থীর বাবা পেশায় একজন জেলে। বখাটে নাঈমের বাবা সৌদি প্রবাসী। তার মা, পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের হাজিরখাল এলাকায় ছেলেকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন।
এ ব্যাপারে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাশার জানিয়েছেন, আমি ভিডিওটি দেখেছি। তারা মামলা করতে আসেনি। বিষয়টি জানাতে এসেছিলেন। আমি ছেলের মাকে বলেছি, তার ছেলেকে নিয়ে থানায় আসতে।