শিরোনাম
নেত্রকোনার পূর্বধলায় নির্বাচনি সহিংসতায় বাড়িঘরে হামলা ও সন্তানদের নামে দেওয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন আনন্দের নেছা (৯০) নামে এক বৃদ্ধা। তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য সিনিয়র সাংবাদিক দেলোয়ার হাসানের মা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে জেলার পূর্বধলা উপজেলার বৈরাটি ইউনিয়নের কাজলা গ্রামের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদে মোহাম্মদ আলম ফুটবল প্রতীকে বিজয়ী হন। ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পরপরই তালা প্রতীকের পরাজিত মেম্বার প্রার্থী বাহার উদ্দীন তালুকদার ও সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে বিজয়ী প্রার্থী মোহাম্মদ আলমের কর্মী-সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মিছিল করে অতর্কিত হামলা চালায়।
ওই ঘটনায় পরাজিত মেম্বার পদপ্রার্থী বাহার উদ্দীন তালুকদার, আলমগীর হোসেন, জিয়াউদ্দীন ও আবুল কাসেমসহ ১০ জন আহত হন। গুরুতর আহত বাহার উদ্দীন তালুকদার ও আলমগীর হোসেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এ ঘটনায় পাল্টা মিথ্যা মামলা করায় এবং আসামিদের গ্রেফতার না করায় নিজ বাড়ির আঙিনায় রোববার সকাল থেকে দেলোয়ার হাসানের বৃদ্ধা মা আনন্দের নেছা তার পরিবারের নারী সদস্যদের নিয়ে আমরণ অনশনে বসেন।
পরে দুপুর ১টার দিকে প্রশাসনের মাধ্যমে হামলাকারীদের যথাযথ বিচার ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের আশ্বাসে আনন্দের নেছাকে পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙেন।
অনশনে বসে আনন্দের নেছা বলেন, নির্বাচনের পর আমার বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। আমারা মামলা দিয়েছি, পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমার ছেলেরা বাড়িঘরে আসতে পারছে না। আমরা মহিলারা বাড়িতে ভয়ে আতঙ্কে বাস করছি। ওরা পাল্টা আমার ছেলেদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। বাড়িঘরে আসতে পারে না। এর বিচার না হলে আমি আরমণ অনশন করব।
অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেনিনি। প্রতিপক্ষ মোখলেছুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরাও মামলা করেছি। পুলিশ তদন্ত করছে; যা হয় আইনের মাধ্যমে হবে।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিবিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরদিকে প্রতিপক্ষও আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছে। দুই ঘটনারই তদন্ত চলছে।
সূত্র: যুগান্তর