শিরোনাম
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার কুলটিয়া ও হরিদাসকাটি ইউনিয়নের মানুষের নিত্যসঙ্গী জলাবদ্ধতা। প্রায় বছর জুড়ে পানির সাথে সংগ্রাম করে তাদের টিকে থাকতে হয়। বর্ষা মৌসুমে এই জলাবদ্ধতা প্রকট আকার ধারণ করে। ভবদহের স্লুইসগেটের কারণে পানি সরতে না পেরে বছরের বেশিরভাগ সময় তলিয়ে থাকে এই অঞ্চলের মাঠঘাট, বসতবাড়িসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে পানি উঠেছে এই দুই ইউনিয়নের অন্তত ২৩টি স্কুল-কলেজে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৫০০-৭০০ বসতবাড়ি। ভেসে গেছে শত শত মাছের ঘের। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ওঠায় বেগ পেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। সূত্র: কালেরকণ্ঠ
খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে, হরিদাসকাটি ইউনিয়নে ৯টি ও কুলটিয়া ইউনিয়নে ১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি উঠে কানায় কানায় ভরে গেছে। শ্রেণিকক্ষে কোমর পানি থাকায় ক্লাস নিতে হচ্ছে অন্যত্র। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে, মুক্তেশ্বরী ডিগ্রি কলেজ, মশিয়াহাটি ডিগ্রি কলেজ, দিগঙ্গা কুচলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পাঁচকাটিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাজে কুলটিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কুলটিয়া বালিকা বিদ্যালয়, বিএইচএমএস বালিকা বিদ্যালয়, আলিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাগডাঙা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাজে কুলটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুলটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাটগাছা সুজাতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাটগাছা মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুজাতপুর দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাগডাঙা দহকুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ আশ্রম সেবাসংঘ্য, লখাইডাঙা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চান্দুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্রীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নেবুগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাজিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মঠপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ পাঁচকাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। তবে পানিতে তলিয়ে থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা বা এর কোনো হিসাব নেই উপজেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে। দুই দপ্তর প্রধানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো তথ্য দিতে পারেননি।
হরিদাসকাটি ক্লাস্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান বলেন, বুধবার ক্লাস্টার ঘুরে ৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে পানি জমে থাকতে দেখেছি। শ্রেণিকক্ষে পানি না ওঠায় পাঠদানে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
কুলটিয়া ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত এটিইও রফিকুল ইসলাম বলেন, কুলটিয়ায় আটটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ পানিতে কানায় কানায় ভরে গেছে। বাজে কুলটিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে কোমর পানি থাকায় পাশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বাচ্চাদের ক্লাস চলছে।
কুলটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখর চন্দ্র রায় বলেন, বর্ষায় হাটগাছা, সুজাতপুর, আলিপুর, বাজেকুলটিয়াসহ দশটি গ্রামের অন্তত ৫০০-৭০০ বাড়িতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবছর এভাবে পানি ওঠে। ভবদহের সমস্যা নিরসন না হলে এই ভোগান্তি শেষ হবে না।
মনিরামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠে পানি উঠেছে। তবে পাঠদানে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।