চার তরমুজে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন শিক্ষার্থী ছামিউল্লাহর

ফানাম নিউজ
  ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১১:২৪
আপডেট  : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১১:২৮

করোনাকালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। এ সময় বসে না থেকে বাড়ির পাশের পতিত জমিতে বাহারি তরমুজ চাষ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার প্যারামেডিক্যালের শিক্ষার্থী মো. ছামিউল্লাহ। চাষে ৪৫ হাজার টাকা খরচ হলেও তরমুজ বিক্রি করে লাখ টাকার বেশি আয় হবে বলে আশা তার। ছামিউল্লাহর অল্প জায়গায় বাহারি তরমুজের অধিক ফলন দেখে স্থানীয় বেকার যুবকরাও চাষে উৎসাহ পাচ্ছেন।

কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের জাজিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা ছামিউল্লাহ। তিনি কোটবাড়ী শহীদ স্মৃতি প্যারামেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। 

ছামিউল্লাহ বলেন, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেকটা অলস সময় কাটছিল। এ সময় একদিন ইউটিউবে কুমিল্লার এক তরমুজ চাষির গল্প দেখি। পরে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে বীজ সংগ্রহ করি। আমি চার জাতের বীজ এনেছিলাম। এর মধ্যে ছিল ব্ল্যাক বেবি, গোল্ডেন ক্রাউন ও বাংলাদেশি জাত মধুমালা এবং সুপার কিং। চাষের পর আমার গাছগুলো সম্পূর্ণভাবে ফলন দিয়েছে। এখনও আমি বিক্রি শুরু করেনি, তবে আশা করছি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ভালো দামেই তরমুজ বিক্রি করতে পারবো। 

তরমুজ বিক্রি করে লাখ টাকার বেশি আয় হবে বলে আশা ছামিউল্লাহর

তিনি আরও বলেন, প্রথমে যখন চাষ করি তখন আমাকে অনেকেই এ বিষয়ে অনুৎসাহিত করে। তবে এখন সবাই এসে আমার ফলন দেখছে ও চাষের বিষয়ে পরার্মশ চাইছেন। মাত্র ২৫ শতাংশ জমিতে তরমুজ আবাদ করেছি। এতে আমার খবরচ হয়েছে ৪৫ হাজার টাকার মতো। আশা করছি লাখ টাকার উপরে তরমুজ বিক্রি করতে পারবো।

এদিকে প্রথমবারের মতো কসবা কুটি এলাকায় বাহারি তরমুজের ভালো ফলন দেখে স্থানীয় যুবকরাও পতিত জমিতে তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়েছেন।

ছামিউল্লাহকে দেখে অনেকেই তরমুজ চাষে উৎসাহ পাচ্ছেন

সাইদুল ইসলাম নামে এক যুবক বলেন, ছামিউল্লাহ তরমুজের চাষ করেছে, অনেক ফল এসেছে। আশা রাখছি আগামীতে আমরাও এই তরমুজ চাষ করবো।

সাদমান হোসেন ভূইয়া নামে আরেক যুবক বলেন, আমার বন্ধু প্রথমবার তরমুজ চাষ করেছে। আমরা এলাকার যুবকেরা এগুলো দেখে শিখছি। আমরাও বাড়ির পাশের খালি জমিতে তরমুজ চাষ করার চিন্তা করছি।

ছামিউল্লাহর অল্প জায়গায় বাহারি তরমুজের অধিক ফলন

কসবা উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ছামিউল্লাহ এলাকায় প্রথমবার তরমুজ চাষ করেছেন। আমরা তাকে চাষ অব্যাহত রাখার পরামর্শ দিয়েছি। এতে করে কুটি এলাকায় অন্যান্য কৃষকরাও উৎসাহিত হবেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে আমরা বলেছি যখন যে পরার্মশ প্রয়োজন আমরা তাদেরকে দিয়ে যাবো।