শিরোনাম
চতুর্থ দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ৫নং সুজালপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মদনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়েছে। এতে আপত্তি জানিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন পরাজিত এক মেম্বার প্রার্থী।
গত ২৬ ডিসেম্বর রাতে ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন সুজালপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী রমনী কান্ত দাস। তিনি ‘বৈদ্যুতিক পাখা’ মার্কা নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।
নির্বাচনে রমনী কান্ত দাস ছাড়াও আর চারজন মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তারা হলেন- রনজিত সরকার রাজ (টিউবওয়েল), আনোয়ার হোসেন (তালা), আবু ছায়েদ আলী (মোরগ) ও শফিউল আহমেদ হোলাল (ফুটবল)।
অভিযোগে রমনী কান্ত দাস বলেন, ওই কেন্দ্রে ভোটারের সংখ্যা ১৬৬০ জন। গণনা বিবরণীতে শতভাগ উপস্থিতি ও ভোটগ্রহণ উল্লেখ করা হয়েছে। যা আদৌ সত্য ও সঠিক নয়। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং প্রিসাইডিং অফিসার অবৈধ আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে ভোটের প্রকৃত ফলাফল পরিবর্তন করেছেন। তাই ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে ভোট স্থগিত করার অনুরোধ করা হয় আবেদনে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মেম্বার প্রার্থী রনজিৎ চন্দ্র সরকার রাজের বাবা অর্জুন সরকার সম্প্রতি মারা গেছেন। এ ধরনের আরও মৃত ভোটার রয়েছে। অনেকে এলাকার বাইরে অবস্থান করছেন। তাই শতভাগ উপস্থিতি ও ভোট অগ্রহণযোগ্য।
ওই ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মিজানুর রহমান জানান, তাড়াহুড়া করার কারণে একটু ভুল হয়েছে। পরে ফলাফল শিট উপজেলায় এনে সংশোধন করে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আখি সরকার জানান, একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, ৫ নং সুজালপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে আবু ছায়েদ আলী (মোরগ) প্রতীকে ৬১৮ ভোট পেয়ে মেম্বার পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
সূত্র: জাগো নিউজ