শিরোনাম
কক্সবাজারে নারী পর্যটককে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি দায়ের হয়। এজাহারে চারজনের নাম উল্লেখ এবং তিনজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলার প্রধান আসামি আশিকুল ইসলাম। এজাহারভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন আশিকের দুই সহযোগী ইস্রাফিল খুদা ওরফে জয় ও মেহেদী হাসান ওরফে বাবু এবং রিসোর্টের ব্যবস্থাপক রিয়াজ উদ্দিন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিপুল চন্দ্র দে প্রথম আলোকে বলেন, মামলার তদন্ত করবে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
এই ধর্ষণের ঘটনায় এর আগে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আজ তিনজনকে শনাক্ত করার কথা জানায় র্যাব-১৫। তাঁদের মধ্যে একজন শহরের বাহারছড়া এলাকার সন্ত্রাসী আশিক বলে জানা যায়।
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে সপরিবার বেড়াতে গিয়ে ওই নারী গতকাল দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। ওই নারীকে দুপুরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে র্যাবের একটি দল কলাতলী এলাকার একটি রিসোর্ট থেকে তাঁকে উদ্ধারের কথা জানায়। এ সময় ওই রিসোর্টের ব্যবস্থাপক রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে (২৯) আটক করে র্যাব।
ওই নারীর স্বামী বলেন, গতকাল সকালে ঢাকা থেকে স্ত্রী ও আট মাসের সন্তানকে নিয়ে তিনি কক্সবাজার বেড়াতে যান। বিকেলে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে ঘুরতে যান। বালুচর দিয়ে হেঁটে পানির দিকে নামার সময় এক যুবকের সঙ্গে তাঁর ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সন্ধ্যায় তাঁর স্ত্রীকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানে নিয়ে তিনজন তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। তারপর একটি রিসোর্টে নিয়ে স্ত্রীকে আটকে রাখা হয়। পরে দুর্বৃত্তরা কক্ষের দরজা বাইরে থেকে লক করে চলে যায়। এসব ঘটনা যেন কাউকে না জানানো হয়, তা নিয়ে ভয়ভীতিও দেখানো হয়।
ওই নারী বলেন, এক ব্যক্তির সহায়তায় তিনি দরজার লক খোলেন। তখন তিনি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল দেন। সেখান থেকে বলা হয় থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার জন্য। এরপর এক ব্যক্তির সহযোগিতায় তিনি কল দেন র্যাব-১৫-তে। র্যাব ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে উদ্ধার করে।
সূত্র: প্রথম আলো