শিরোনাম
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় পদ্মার চরে পেঁয়াজ চাষ করে সফলতার পেয়েছেন চাষিরা। বুধবার পদ্মার কালিদাসখালী চরে চাষিদের পেঁয়াজ জমি পরিচর্যা করতে দেখা গেছে।
সকালে বাঘা উপজেলার দুর্গম পদ্মার চরে কালিদাসখালী এলাকার কৃষক আবদুস সালাম লেবার দিয়ে কুয়াশার মধ্যে পেঁয়াজের জমি পরিচর্যা করছিলেন।
তিনি জানান, গত বন্যায় পদ্মার পানি নামতে দেরি হওয়ায় দেরিতে পেঁয়াজ রোপণ করতে হয়। কিন্তু চলতি মৌসুমে বন্যার পানি আগে নেমে যাওয়ায় পেঁয়াজ আগাম রোপণ করা হয়েছে।
চলতি মৌসুমে পেঁয়াজের বাজার মূল্য ভালো পাবেন বলে আশা করছেন তিনি।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রায় তিন হাজার হেক্টর। চাষ হয়েছে সাড়ে তিন হাজার হেক্টর। এরমধ্যে অর্ধেকের বেশি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে উপজেলার দুর্গম পদ্মার চরাঞ্চলে। আগাম পেঁয়াজ চাষিরা ভালো ফলন ও বেশি দাম পাবেন বলে জানান।
চরাঞ্চলের পেঁয়াজের গুণগতমান ভালো হওয়ায় বিভিন্ন এলাকা থেকে বাস ও ট্রাকে করে পেঁয়াজ কিনতে আসেন ব্যবসায়ীরা।
পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর চরের পেঁয়াজ চাষি বাবলু দেওয়ান ও আকছেদ আলী শিকদার জানান, এবার পদ্মার পানি আগে নেমে যাওয়ার কারণে চলতি মৌসুমে আগাম পেঁয়াজ চাষ করা হয়েছে। আশা করছি ফলন ভালো হবে।
চকরাজাপুর চরের পেঁয়াজ চাষি গোলাম মোস্তফা জানান, গত বছর তিন বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করে বাজার মূল্য পেয়েছিলেন কেজি প্রতি ৩৫-৪০ টাকা। এবারও আশা করছেন ওই দামই পাবেন। বর্তমান বাজারে নতুন পেঁয়াজ পাইকারি হিসেবে ৩০-৩৫ টাকা প্রতি কেজি হিসেবে ক্রয় বিক্রয় হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান জানান, এ বছর উপজেলায় সর্বত্রই কম-বেশি পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। উপজেলার সমতল এলাকার বেশি পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপন্ন হয় পদ্মার চরে। তবে পেঁয়াজ চাষিদের সব সময় পরামর্শ দেয়া হয়।
সূত্র: যুগান্তর