শিরোনাম
সাভারের আশুলিয়া থানাধীন নরসিংহপুরের একটি পোশাক কারখানার দুই শ্রমিক তাদের পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে করেছেন। এতে কারখানা থেকে তাদের বের করে দেওয়া হয়েছে। বিয়ের পরদিনই চাকরি চলে গেল মোমিনুল ইসলাম শামীম ও লিমা আক্তার দম্পতির।
মোমিনুল ইসলাম শামীম নরসিংহপুর নিট এশিয়া লিমিটেড নামে ওই কারখানায় সুপারভাইজার হিসেবে প্রায় আট বছর কাজ করেছেন। তার সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী লিমা আক্তার সহকারী অপারেটর হিসেবে চার মাস কাজ করেছেন।
এ নবদম্পতি জানান, ১৭ সেপ্টেম্বর কারখানার পাশে নিজেদের বাসায় তাদের বিয়ে হয়। পরদিন সকালে কারখানায় গেলে কাজ করা অবস্থায় তাদের ডেকে নিয়ে চাকরি ছেড়ে দিতে বলা হয়। তবে তারা চাকরি ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান।
শামীম বলেন, বিয়ের পরদিন কারখানায় যাওয়ার একটু পরই আমাদের অ্যাডমিনের অফিসে নিয়ে নানাভাবে অপমান করা হয়। দুজনকেই রিজাইন লেটারে স্বাক্ষর দিতে বলা হয়। আমরা কেউ স্বাক্ষর দেইনি। তবে আমাদের আইডি কার্ড রেখে দেওয়া হয়। আমার ও লিমার পাওনা পরিশোধ করা হয়নি।
লিমা আক্তার বলেন, চার মাস যাবত ওই কারখানায় সহকারী অপারেটর হিসেবে কাজ করি। কখনো শুনিনি বিয়ে করলে আর চাকরি করা যায় না। আমরা এক অফিসের দুইজন বিয়ে করেছি- এতে তো অফিসের খুশি থাকার কথা। উল্টো আমাদের বের করে দিলো কারখানা থেকে।
জানা গেছে, শামীম ও লিমার এর আগেও বিয়ে করেছিলেন। দুজনেরই বিচ্ছেদ হয়েছে।
নিট এশিয়া লিমিটেডের প্রশাসন বিভাগের কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ বলেন, শামীম আগেও একটি বিয়ে করেছিলেন। তার কারণে কারখানার কর্ম পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। মূলত তিনি একজন সুপারভাইজার। তিনি তার দায়িত্বে থাকা শ্রমিককে কী করে বিয়ে করেন? এ কারণে তাকে ও তার বর্তমান স্ত্রী লিমাকে চাকরি ছাড়তে বলা হয়েছে। কিন্তু তারা সেটা না করে উল্টো রাগ করে কারখানা থেকে বের হয়ে গেছেন। এখন চাকরি না ছাড়লে তো আর তাদের পাওনাদি পাবেন না।
এ বিষয়ে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বলেন, আশুলিয়ার নরসিংহপুরের নিট এশিয়া লিমিটেডের মালিকপক্ষের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করায় ওই শ্রমিক দম্পতিকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এটা অন্যায়। কারখানা মালিক ওই দুই শ্রমিকের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা হরণ করেছে।