শিরোনাম
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসময় আতংকিত হয়ে সিসিইউর কয়েকজন রোগী অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ ঘটনার প্রায় পৌনে ২ ঘণ্টা পর রনবী দাস (৬০) নামে হৃদরোগে আক্রান্ত এক রোগী মারা যায়। এছাড়া সিসিইউ থেকে হুড়োহুড়ি করে বের হতে গিয়ে কয়েকজন রোগী সামান্য আহত হন।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া রনবী দাস বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাসিন্দা।
করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি রোগীদের স্বজনরা জানান, হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) সুইচ বোর্ডের পাশে বিদ্যুতের শর্টসার্কিট হয়ে ফায়ার (অগ্নি স্ফুলিঙ্গ) হয়। পরে তারে আগুন ধরে যায়। আতংকে রোগী ও তাদের স্বজনরা বাইরে বেরিয়ে আসেন। এসময় আতংকিত হয়ে কয়েকজন রোগী অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালের স্টাফরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
মারা যাওয়া রনবী দাসের স্বজনরা জানান, রনবী দাসকে গত ১১ ডিসেম্বর শের-ই-বাংলা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় হৃদরোগ ধরা পড়লে মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করেন চিকিৎসকরা। তার অবস্থা খুব খারাপ ছিল না। রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার বিপরীত দিকে শয্যার কাছে বিদ্যুতের তারে আগুন লাগে। এতে তিনি আতংকিত হয়ে জ্ঞান হারান। এরপর আর জ্ঞান ফেরেনি। রাত ১১টা ২০ মিনিটে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, করোনারি কেয়ার ইউনিটের (সিসিইউ) ওয়ারিংয়ের বিদ্যুতের তারগুলো পুরোনো। বিদ্যুতের তার শর্টসার্কিট হয়ে আগুন লাগে। এতে রোগীদের মাঝে কিছুটা আতংক তৈরি হয়েছিল। তবে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফরা সিসিইউর সব রোগীকে পার্শ্ববর্তী পোস্ট সিসিইউতে সরিয়ে নেন। ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়েছিল। তবে হাসপাতালের স্টাফরা ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা হয়।
রনবী দাসের মৃত্যুর বিষয়ে পরিচালক বলেন, খোঁজ নিয়ে জেনেছি, রনবী দাস হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন। তার শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না। সন্ধ্যার পর থেকে তার অবস্থা ক্রমেই অবনতি হচ্ছিল। এছাড়া অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে রাত সাড়ে ৯টার দিকে আর রনবী দাসের মৃত্যু হয় রাত ১১টা ২০ মিনিটে। তাই আগুন আতংকে তার মৃত্যু হয়েছে এটা বলা ঠিক হবে না।
সূত্র: জাগো নিউজ