শিরোনাম
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুঁড়ি পশ্চিমপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. সাইদুর রহমান (৩২) ও মো. হাসিবুল ইসলাম (২৯) নামে দুই অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১।
এ সময় অবৈধ ভিওআইপি কাজে ব্যবহৃত দুটি স্মার্টফোন ও দুটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা অবৈধ পন্থায় অর্জিত প্রায় ২৮ কোটি টাকা মধ্যপ্রাচ্যে পাচার করেছে।
এতে বাংলাদেশ সরকারকে আনুমানিক ৩ কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়েছে। রোববার দুপুরে র্যাব ১১-এর আদমজীর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব ১১-এর উপ-অধিনায়ক মেজর হাছান শাহরিয়ার এ তথ্য জানান।
এর আগে গত শনিবার বিকালে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। মো. হাসিবুল ইসলাম মো. সাইদুর রহমানের সহযোগী বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব ১১-এর এ কর্মকর্তা আরও জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় গ্রেফতার হওয়া দুজন মধ্যপ্রাচ্যের একটি কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে নিয়মবহির্ভূতভাবে ভিওআইপি ব্যবসা করে আসছিলেন।
তারা স্বীকার করে, এই পন্থায় অর্জিত প্রায় ২৮ কোটি টাকা তারা মধ্যপ্রাচ্যে অবৈধভাবে পাচার করেছে। বিটিআরসি কর্মকর্তা ধৈল ভাষ্যমতে, অভিযুক্ত ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ সরকারকে আনুমানিক ৩ কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়েছেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, এ চক্র অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে, যার ফলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তারা বসতবাড়িতে ভিওআইপি সরঞ্জামাদি স্থাপন করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। তবে বর্তমানে অত্যাধুনিক প্রক্রিয়ায় বিদেশি সার্ভার ভাড়া করে কেবল মোবাইল ফোন অথবা ল্যাপটপ ব্যবহার করে লোকচক্ষুর অন্তরালে দীর্ঘদিন ধরে তারা এই ব্যবসা পরিচালনা করছেন বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে র্যাব জানায়। এক প্রশ্নের উত্তরে র্যাব ১১-এর উপ-অধিনায়ক মেজর হাছান শাহরিয়ার জানান, যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা বিভিন্ন অ্যাপ (হোয়াটসআপ, মেসেঞ্জার, ইমুসহ অন্যান্য অ্যাপ) ব্যবহার করে বিদেশে কথা বলেন মূলত তারাই ভিওআইপি গ্রাহক।
সূত্র: যুগান্তর