শিরোনাম
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল (৫০) ও তার সহযোগী আওয়ামী লীগ কর্মী হরিপদ সাহাকে (৫৫) হত্যার ঘটনায় অস্ত্রের জোগানদাতা এবং ‘হিট স্কোয়াডে’ থাকা এজাহারবহির্ভূত দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার রাত ৯টার দিকে অভিযান চালিয়ে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সহযোগিতায় তাদের গ্রেফতার করেন জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা।
গ্রেফতারকৃতরা হলো— নগরীর শুভপুর এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে মো. নাজিম ওরফে পিচ্চি নাজিম (৩০) এবং জেলার চৌদ্দগ্রামের গুণবতী গ্রামের মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে মো. রিশাত ওরফে নিশাত (২৫)।
সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) পরিমল দাস। তিনি বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে শনাক্তকৃত কিলিং স্কোয়াডের সদস্য নাজিমকে সোমবার রাত ৯টার দিকে এবং রিশাতকে রাত ১০টার দিকে তাদের নিজ নিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রিশাত হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রের অন্যতম জোগানদাতা। তাদের ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে নেওয়া হচ্ছে।
এর আগে পুলিশ জানিয়েছিল, সোহেল ও হরিপদকে গুলি করে হত্যার সময় হিট স্কোয়াডে ছিলেন ছয় সন্ত্রাসী। তারা হলেন— মামলার এজহারনামীয় প্রধান আসামি শাহ আলম, ২ নম্বর আসামি সোহেল ওরফে জেল সোহেল, ৩ নম্বর আসামি মো. সাব্বির হোসেন, ৫ নম্বর আসামি সাজন, এজাহারবহির্ভূত স্থানীয় নাজিম নামে এক যুবক ও ফেনী থেকে আগত সন্ত্রাসী নিশাত।
সর্বশেষ পুলিশ জানতে পারে, রিশাত ওরফে নিশাতের বাড়ি ফেনী নয়, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে। এই ছয়জনের মধ্যে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন শাহ আলম, সাব্বির ও সাজন। আর জেল সোহেল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে এখন কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছে।
গত ২২ নভেম্বর বিকাল ৪টার দিকে নগরীর পাথরিয়াপাড়া থ্রি-স্টার এন্টারপ্রাইজে কাউন্সিলর কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন কাউন্সিলর সোহেল ও হরিপদ সাহা। কাউন্সিলর সোহেল কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।
নিহত হরিপদ সাহা নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য এবং সাহাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
সূত্র: যুগান্তর