শিরোনাম
অনিয়ম যেন নিয়মেরেই অংশ হয়ে উঠেছে, মাদারীপুরের শিবচরের সাব-রেজিস্ট্রার অফিস। সাব-রেজিস্ট্রার অফিস তো নয়, মনে হয় অনিয়মের অভয়াশ্রম। একই কক্ষে মাত্র কয়েক ফুট দূর, সাব-রেজিস্ট্রারের সামনে বসে অবাদে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে অফিস সহকারি। দেখেও যেন, দেখছে না সাব রেজিস্ট্রার। সূত্র: আরটিভি
মাদারীপুরের শিবচর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের অফিস সহকারি (কেরানি) আশরাফ আলীর বিরুদ্ধে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, শিবচর সাব রেজিস্ট্রার অফিসের সহকারি (কেরানি) আশরাফ আলী অতিরিক্ত টাকা ছাড়া কোনো একটি দলিল রেজিস্ট্রারে অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি। সেই সঙ্গে ক্রেতা-বিক্রোতার টিপ গ্রহণ করা বাবদ রয়েছে তার বাড়তি চাহিদা। সাব-কবলা, হেবার ঘোষণা, হেবাবিল এওয়াজ, এই তিন শ্রেণীর দলিলে উপর রয়েছে তার বিশেষ চাহিদা। এসব দলিলের উল্লেখিত টাকার অংকের উপর, প্রতি লাখে পাঁচশত টাকা অফিস খরচ অর্থাৎ (০.৫ পার্সেন্ট) কমিশন বাবদ আদায় করা হয়। যা ওপেন সিকরেট বলেই সবার জানা আছে।
অন্যদিকে বায়না, মর্গেজ, আম মোক্তারনামনা, এ-শ্রেণির দলিলের ক্ষেত্রে ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান বলে কোনো কথা নেই অতিরিক্ত টাকা ছাড়া কোনো দলিলেই রেজিস্ট্রারে অন্তর্ভূক্ত করেন না তিনি। জমি ক্রেতা-বিক্রেতার ন্যাশনাল আইডি কার্ডসহ কোনো একটি কাগজের মূল কপি সঙ্গে না থাকলে দলিল সম্পাদন বন্ধ করে চরম ভোগান্তিতে ফেলে চাহিদা অনুযায়ী অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে।
অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে শিবচর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের সহকারি (কেরানি) আশরাফ আলী মুঠোফোনে বলেন, আমাদের অতিরিক্ত টাকা নেয়ার কোন সুযোগ নেই। যারা বলেছে তারা সত্য বলেনি।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক দলিল লেখক বলেন, বিক্রিত জমির মূল্য অনুযায়ী প্রতি লাখে ৫শ টাকা করে অফিস খরচ দিতে হয়। এটা ওপেন সিকরেট। দীর্ঘদিন ধরে এ নিয়মেই চলে আসছে। আর দলিল লেখকদের লাইসেন্স নবায়ণ করার বিষয়টিও রেজিস্ট্রারদের অধীনে তাই ইচ্ছা না থাকলেও অফিসের চাহিদা পূরণ করতে হয়।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, অনিয়ম প্রতিরোধে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসগুলোতে প্রয়োজনে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। কোনো অফিসের অনিয়ম আমরা প্রশ্রয় দিবো না। আমি জেলা রেস্ট্রিারের সঙ্গে কথা বলবো। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।