শিরোনাম
নোয়াখালীর সূবর্ণচর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে বয়স্কদের স্বাক্ষর জ্ঞানের আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রকল্পের আওয়তায় ৩২০টি কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চৈতি সর্ববিদ্যা সকালে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে কেন্দ্রেগুলোর উদ্বোধন করেন। পরে বিকেলে প্রত্যেক কেন্দ্রে ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের পাঠদান চালু হয়। কেন্দ্রগুলোতে বড়দেরকে পাঠশালায় বসে শিক্ষা নিতে দেখে উৎসুক দর্শক হয় শিশুরা।
ইউএনও জানান, নদী উপকূলীয় উপজেলা সূবর্ণচরের বেশিভাগ মানুষ অতি সাধারণ। এখানকার লোকজনকে স্বাক্ষরতার আওতায় আনতে নোয়াখালী রুরাল অ্যাকশান সোসাইটির (এন-রাশ) মাধ্যমে কেন্দ্রগুলো পরিচালিত হবে। এর থেকে গ্রামীণ সাধারণ লোকজন উপকৃত হলে সরকারের উদ্যোগে সফলতা আসবে।
অনুষ্ঠানে জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক বিদ্যুৎ রায় বর্মনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, এন-রাশের প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. জাহেদ হোসাইন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন চৌধুরী বাহার, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. রেজাউল করিম, প্রোগ্রাম অফিসার মো. মাইন উদ্দিন, এন-রাশের জেলা প্রেগ্রাম অফিসার আকলিমা বেগম, ম্যানেজার মো. একরাম হোসেন হৃদয় ও সুপারভাইজার মো. আব্দুল কাইয়ুম প্রমুখ।
উপজেলার ৫নং চরজুবলী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের পশ্চিম চরজুবলী গ্রামের পলোয়ান বাড়ি কেন্দ্রে মো. সফিক উল্যাহ (৪৩) বলেন, গ্রামে কৃষি কাজ করি। কৃষি ব্যাংকে হিসাব খুলতে গেলে কর্মকর্তারা স্বাক্ষত দিতে বলেছেন। কিন্তু তা জানি না, তাই স্কুলে ভর্তি হয়ে পড়া-লেখাসহ স্বাক্ষর শিখতে এসেছি।
একই কেন্দ্রের নারী শিক্ষার্থী বিবি আয়েশা (৩৬) জানান, এনজিও থেকে ক্ষুদ্র ঋণ নিতে চাইলে স্বাক্ষর চায়। তাই স্বাক্ষর শিখতে কেন্দ্রে ভর্তি হয়েছি। বাড়িতে দুটি গাভী আছে। সেগুলোর দুধের হিসেব রাখতেও পড়ালেখা শিখতে চাই।
সূত্র: জাগো নিউজ