শিরোনাম
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে টানা দুইদিনের বৃষ্টিতে বরগুনায় জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। এতে কৃষকরা তাদের স্বপ্নের ফসল আমন ধান ও শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। সূত্র: আরটিভি
শনিবার রাত থেকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মুষলধারে বৃষ্টি ও বাতাস বয়ে যাচ্ছে। এতে আমন ধানসহ বিভিন্ন ফসলের মাঠে পানি জমে আছে। এ ছাড়াও নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়াতে ডুবে গেছে ফসলি জমি।
গত বছরের চেয়ে এ বছর আমনের বাম্পার ফলন হলেও ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে চাষিদের স্বপ্নের ফসল আমন ও ইরি ধান ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছে। আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে ধান কাটা হবে বলে জানিয়েছে কৃষকরা। ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ধান নুয়ে পড়ছে। ফসলের মাঠে পানি জমে আছে। শীতকালীন সবজি বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যাবে বলে জানান কৃষকরা।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কবলে পড়ে বঙ্গোপসাগরে একটি মাছধরা ট্রলার ডুবে গেছে। এতে কয়েকঘণ্টা পর এক জেলে উদ্ধার হলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ২০ জেলে।
সকালে পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবিরের মালিকানা এফবি সাফওয়ান নামে একটি মাছ ধরা ট্রলারের মাঝি মো. মহসিন হাফিজুর রহমান নামে ওই জেলেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করলেও ডুবে যাওয়া ওই ট্রলারটি এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে বৈরি আবহাওয়া থাকায় সাগরে টিকতে না পেরে জেলেরা বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে রোববার ভোররাতে পটুয়াখালীর গলাচিপার দক্ষিণে সোনারচর এলাকায় ২১ জন জেলেসহ ট্রলারটি ডুবে যায়। একদিন পর সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রাত ১১ টার দিকে এক জেলে উদ্ধার হলেও বাকি ২০ জেলেসহ ট্রলারটি এখনও নিখোঁজ রয়েছে।