শিরোনাম
মেয়র আব্বাসকে বুধবার (১ ডিসেম্বর) ভোরে রাজধানীর কাকরাইলের হোটেল রাজমণি ইশা খাঁ থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। বিষয়টি জানার পর র্যাবকে এক লাখ টাকা পুরস্কার হিসেবে দিতে চান কাটাখালী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মো. খোকনুজ্জামান মাসুদ।
মূলত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল স্থাপন নিয়ে কটূক্তির প্রেক্ষিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বোয়ালিয়া মডেল থানায় বাদী হয়ে রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মোমিন মামলা করেন। সেই মামলায় মেয়র আব্বাস আলীকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল স্থাপন নিয়ে কটূক্তিকারী আব্বাসকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। একথা শোনার পর অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি। আমি বৃহস্পতিবার মোল্লাপাড়া র্যাব-৫ ক্যাম্পে গিয়ে র্যাব অধিনায়কের সঙ্গে সাক্ষাৎ করব। আমার ঘোষণাকৃত আর্থিক সম্মাননার বিষয়টি নিয়ে তার সঙ্গে আলোচনা করব। তারপর তিনি যেভাবে বলবেন আমি ঠিক সেভাবেই আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে অর্থ প্রদান করব।
সাবেক কাউন্সিলর মাসুদের ভাষ্য, ‘আমি এক কথার মানুষ। যা কথা দিয়েছি তাই করব। কথার কোনো নড়চড় হবে না। গ্রেফতারের পর থেকে আমি র্যাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। আমার কথার হেরফের হবে না।’
মেয়র আব্বাস গ্রেফতার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘সে গ্রেফতার হওয়ায় আমি হেব্বি খুশি। এতো খুশি তা বলার মতো না। তার মতো কুলাঙ্গার আওয়ামী লীগে ঘাপটি মেরে দলের ও জনগণের ক্ষতি করে আসছিল। অনেক পরে হলেও সবাই তা বুঝতে পেরেছে। আব্বাস গ্রেফতার হওয়ায় শুধু আমিই নয় পুরো পৌরবাসী আনন্দিত। সবাই এখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে।’
মেয়র আব্বাস গ্রেফতারের বিষয় নিয়ে কথা হয় রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অনিল কুমার সরকারের সঙ্গে। তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তিকারী কুলাঙ্গার আব্বাসকে গ্রেফতার করায় আমি ও পুরো আওয়ামী পরিবার অত্যন্ত আনন্দিত।
তিনি বলেন, কিছু জরুরি কাজে আমি ও আমার জেলার সাধারণ সম্পাদক ঢাকায় অবস্থান করছি। তবে রাজশাহী ফিরেই আব্বাস গ্রেফতার নিয়ে আমাদের দলীয় কার্যক্রম থাকবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল নির্মাণকে কেন্দ্র করে কটূক্তি এবং সেটি নির্মাণ প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে বক্তব্য দেন নৌকা প্রতীকে দুবারের নির্বাচিত মেয়র আব্বাস আলী। এ নিয়ে একটি অডিও ফাঁস হয়। সেই অডিওর জের ধরে ডিজিটাল আইনে করা মামলায় বুধবার গ্রেফতার হন তিনি।
এর আগে ২৪ নভেম্বর বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের জরুরি বৈঠকে আব্বাসকে পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। ২৫ তারিখ রাতে ১২ কাউন্সিলর রাজশাহী জেলা প্রশাসকের ডাক বাংলোতে অনাস্থা পত্র ও রেজুলেশান জমা দেন। এরপর ২৬ তারিখ সন্ধ্যায় মেয়র আব্বাসকে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়।
সূত্র: জাগো নিউজ