শিরোনাম
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সদস্য (মেম্বার) পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে হেরে গিয়েও প্রতিশ্রুতি রেখেছেন প্রার্থী। মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার নন্নী ইউনিয়নের নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী আবদুল হামিদ মাইকে প্রচার করে নিজ বাড়িতে ভোটারদের নিমন্ত্রণ জানালেও দাওয়াত খেতে কেউ আসেনি।
তবে তিনি নির্বাচনী ওয়াদা রাখতে ২টি গরু, ১০ মণ চাল ও খরচের জন্য নগদ ১০ হাজার টাকা প্রস্তুত রেখেছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
জানা গেছে, এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি ভোটাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিজয়ী হলে ভোটের পর মাইকে প্রচার করে ২টি গরু জবাই করে ও ১০ মণ চাল রান্না করে ভোটারদের খাওয়াবেন। তৃতীয় ধাপের ২নং নন্নী ইউপির ১নং ওয়ার্ডে ফুটবল প্রতীক নিয়ে আবদুল হামিদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন এমদাদুল হক (মোরগ প্রতীক) ও জালাল উদ্দিন (তালা প্রতীক)।
রোববার (২৮ নভেম্বর) ভোটের দিন ফলাফল অনুযায়ী ওই ওয়ার্ডে ৭৩০ ভোট পেয়ে (মোরগ প্রতীক) এমদাদুল হক ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। আর মাত্র ৬৪ ভোট পেয়ে আবদুল হামিদ (ফুটবল প্রতীক) তৃতীয় স্থানে রয়েছেন।
নির্বাচনের আগে আবদুল হামিদ গ্রামে ঘুরে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রতিশ্রুতি দেন তাকে ভোটে নির্বাচিত করা হলে দুটি গরু জবাই করা হবে। এছাড়া ১০ মণ চাল দিয়ে ভোটারদের পেটপুরে খাওয়ানো হবে।
ভোটাররা প্রতিশ্রুতি না রাখলেও আবদুল হামিদ তার দেয়া ওয়াদামতো সোমবার এলাকায় মাইকিং করে ভোটাদের আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত পরাজিত ওই প্রার্থীর বাড়িতে কয়েকজন সাংবাদিক ছাড়া কোনো ভোটার বা গ্রামবাসীকে দেখা যায়নি।
এ ব্যাপারে আবদুল হামিদ বলেন, আমি ভোটারদের ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট চেয়েছি এবং ভোটের পর দুটি গরু ও ১০ মণ চাল দিয়ে গ্রামবাসীদের খাওয়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। ভোটাররাও আমাকে ভোট দেবেন বলে কথা দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ভোট পেয়েছি মাত্র ৬৪টি। কেউ কথা রাখেনি। তাই মাইকিং করে গ্রামবাসীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে চাল ও জবাই কারার জন্য ২টি গরু প্রস্তুত রাখা আছে। গ্রামবাসী এলেই সবাই মিলে গরু জবাই করে খাওয়ার আয়োজন করা হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেউ আসেনি। তারা না এলেও আমি আমার কথা রেখেছি।
সূত্র: জাগো নিউজ