শিরোনাম
কুমিল্লায় কাউন্সিলর সোহেল হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৬ ঘাতককে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। গ্রেফতার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা এবং প্রযুক্তির সহায়তায় ওই ৬ ঘাতককে শনাক্ত করা হয়।
এছাড়া ২৮ নভেম্বর এজাহার নামীয় আসামি জিসানকে কোতয়ালি থানার পাচথুবী এলাকা হতে এবং তদন্তে প্রাপ্ত আসামি মোহাম্মদ রাব্বি ইসলাম অন্তরকে গ্রেফতরের পর সোমবার বিকালে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ২ নং আমলি আদালতে উঠানো হয়।
আদালতে এই দুই জনের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। রিমান্ড শুনানি না হলে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ নিয়ে ৩ আসামিকে র্যাব ও ৩ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ একটি সূত্র জানায়, হত্যার মিশনে অংশগ্রহণকারী সদস্যরা হলেন- শাহ আলম (এজহার নামীয়), সাজেন (এজহার নামীয়), সাব্বির (এজহার নামীয়), জেল সোহেল (এজহার নামীয়) নাজিম এবং ফেনী থেকে আগত একজন অজ্ঞাত আসামি।
প্রাথমিকভাবে জানা যায় যে, আসামিরা ঘটনার আগের রাত্রে এজহার নামীয় আসামি সাজেনের বাসায় বৈঠক করে এবং ঘটনার দিন বিকেল ৪ টার দিকে একটি অটো ভাড়া করে কাউন্সিলরের অফিসের দিকে রওনা দেয়।
গ্রেফতার আসামি মোহাম্মদ রাব্বি ইসলাম অন্তর সোমবার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে জানায়, তিনি হিট স্কোয়াডের সদস্যদের অটো ভাড়া করে দিয়েছিল।
পুলিশ আরো জানায়, ঘটনার পর পরই কুমিল্লা জেলা পুলিশ, এন্টি টেররিজম ইউনিট এবং ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের বিশেষজ্ঞ দল ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন এবং আসামি গ্রেফতারের কাজ শুরু করে। এই প্রেক্ষিতে ঘটনার এজহার নামীয় আসামি মাসুমকে ২৫ নভেম্বর চান্দিনা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে ২৮ নভেম্বর এজহার নামীয় আসামি জিসানকে কোতয়ালি থানার পাচথুবী এলাকা হতে এবং তদন্তে প্রাপ্ত আসামি মোহাম্মদ রাব্বি ইসলাম অন্তর প্রকাশ অন্ত (১৯) কে জেলার দেবিদ্বার এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার আসামি মোহাম্মদ রাব্বি ইসলাম অন্তর সোমবার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে।
কোতয়ালী মডেল থানার ওসি আনোয়ারুল আজিম বলেন, কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া অপরাধীদের গ্রেফতার করতে পুলিশের একাধিক টিমের অভিযান চলমান রয়েছে।