শিরোনাম
ঢাকার কেরানীগঞ্জের হজরতপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের আটকাবস্থা থেকে দুই ম্যাজিস্ট্রেটসহ পাঁচজনকে রোববার রাতে উদ্ধার করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও র্যাব ৩০০টি গুলি ছুড়েছে। তবে কেউ হতাহত হননি।
র্যাব-১০-এর কেরানীগঞ্জের কোম্পানি কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার ফখরুল হাসান প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, হজরতপুর উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শেষে গণনা চলছিল। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আলাউদ্দিন পরাজিত হতে পারেন—এ আশঙ্কায় তাঁর সমর্থকেরা ভোটকেন্দ্রে কর্তব্যরত দুই ম্যাজিস্ট্রেট, একজন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও দুজন পুলিশ সদস্যকে আটক করে রাখেন। পরে সেখানে কর্তব্যরত অপর পুলিশ সদস্য কেরানীগঞ্জে র্যাব ক্যাম্পে যোগাযোগ করেন। এরপর র্যাব সদস্যরা সেখানে যান।
ফখরুল হাসান বলেন, ব্যালট বাক্সসহ পাঁচজনকে উদ্ধার করে কেরানীগঞ্জ উপজেলার উদ্দেশে রওনা হন র্যাব সদস্যরা। তখন আলাউদ্দিনের সমর্থকেরা র্যাবকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও গুলি ছুড়তে থাকেন। র্যাবও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে আলাউদ্দিনের সমর্থকেরা বালুভর্তি ট্রাক দিয়ে র্যাবের পথ আটকান। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তাঁরাও ফাঁকা গুলি ছোড়েন। পরে বালুভর্তি ট্রাক সরিয়ে দুই ম্যাজিস্ট্রেটসহ পাঁচজনকে নিয়ে অক্ষত অবস্থায় কেরানীগঞ্জ উপজেলায় পৌঁছান তাঁরা।
এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি জানিয়ে এই র্যাব কর্মকর্তা বলেন, দলীয় আদেশ অমান্য করায় বিদ্রোহী প্রার্থী আলাউদ্দিনকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
হজরতপুর ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন বর্তমান চেয়ারম্যান আয়নাল হোসেন।
সূত্র: প্রথম আলো