শিরোনাম
পটুয়াখালীতে জেলা বিএনপির গণঅনশন কর্মসূচিতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে।
দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেওয়ার দাবিতে শনিবার (২০ নভেম্বর) সকালে কলেজ রোডের দলীয় কার্যালয়ে কর্মসূচি চলাকালে ২০ থেকে ২৫টি মোটরসাইকেলে হকি স্টিক, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এ হামলার চালানো হয়েছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়। সূত্র: আরটিভি
এদের মধ্যে গুরুতর আহত সদর উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. জাকারিয়া আহমেদকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে বিএনপির দাবি তাদের ১৫ থেকে ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। বিএনপির স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এ হামলার জন্য স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগকে দায়ী করেছে। অপরদিকে ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগ বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে দাবি করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সকাল ৯টার দিকে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে গণঅনশন শুরু হয়। সকাল সোয়া ১০টার দিকে ২০ থেকে ২৫টি মোটরসাইকেলযোগে ৪০ থেকে ৫০ জন যুবক হকস্টিক ও রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় এবং হামলা শেষে জয়বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু শ্লোগান দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব সরকার কুট্টি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যেতে দেওয়ার দাবিতে আমাদের দলীয় কার্যালয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলাকালে স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মীরা হামলা চালায়। স্বাধীন দেশে একটি দলের কর্মসূচিতে এভাবে নগ্ন হামলা থেকেই বুঝা যায় বিরোধী রাজনৈতিক দলের স্বাধীনভাবে রাজনীতি করার কী অধিকার দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শাহানুর হক ব্যাপারী জানিয়েছেন, এ ঘটনার সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবকলীগ কোনোভাবেই দায়ী নয়। বরং বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের হানহানি অন্যের ওপর চাপিয়ে দেয়। এটা তাদের দুষ্টুবুদ্ধি এবং তারা সব সময় মিথ্যার আশ্রয় নিতে পটু ও অভ্যস্ত।
এ ব্যাপারে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, এ ধরণের একটা খবর পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। তবে, তাদের অভ্যন্তরীণ কিছু ঝামেলা আছে। হয়তো এসব নিয়েও এই ঘটনাটি ঘটতে পারে।